রবিবাসরীয় রামনবমীতে কলকাতায় ৬০ মিছিল, অশান্তি রুখতে দায়িত্বে ২৯ আইপিএস, সতর্ক লালবাজার

আগামীকাল রামনবমী , রামনবমীকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, তার জন্য রাজ্য যে সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা এদিন স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল নবান্ন। রামনবমীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজ্য পুলিশের বিশেষ দল তৈরি করা হল। ২৯ আইপিএসকে ওইদিন বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হল।

হাওড়া উত্তর ও হাওড়া গ্রামীণে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে ব্যারাকপুর, আসানসোল এবং শিলিগুড়িতে। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, ইসলামপুর এবং চন্দননগরেও বাড়তি সতর্ক থাকছে পুলিশ। ২ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাজ্য়ের কোনও পুলিশকর্মী ছুটি নিতে পারবেন না , জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘সিস্টেম’ মেনে মিছিল করা যেতেই পারে। পুলিশমন্ত্রী মমতার সংযোজন ছিল, ‘‘রামনবমীতে আমাদেরও অনেকে মিছিল করেন। আমার তাতে আপত্তি নেই। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ ভাবে হোক (মিছিল)।’’ কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দিন তাদের কুইক রেসপন্স টিম তৈরি থাকবে।

হেস্টিংস, এন্টালি, কাশীপুর সহ যে পাঁচ-ছয়টি জায়গায় বড় মিছিল হয়, সেখানে পদস্থ আধিকারিকেরা থাকবেন। থাকছে বাইকে টহলদারির ব্যবস্থা। একই সঙ্গে মিছিলের সঙ্গে সঙ্গে থাকবেন পুলিশ কর্মীরা। বস্তুত, রামনবমী উপলক্ষে বিজেপির মিছিল যেমন রয়েছে, তেমনই বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মিছিলের ডাক দিয়েছে। আবার রামনবমীতে পথে নামছে তৃণমূলও।

আবার রামনবমীর মিছিলে শহরের রাজপথে অস্ত্র হাতে হাঁটলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। শহরের বুকে পুরনো এবং বড় মিছিলে ডিসি, যুগ্ম পুলিশ অধিকর্তা প্রমুখ পদমর্যাদার আধিকারিকেরা উপস্থিত থাকবেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ২৯ আইপিএস আগামী সোমবার পর্যন্ত ওই দায়িত্বে থাকবেন।

কলকাতায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার পুলিশকর্মীকে নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে রাখা হচ্ছে। তাছাড়া ওসি, ডিসি, এসি, জয়েন্ট সিপি সহ পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। যে যে রাস্তায় মিছিল যাবে, সেখানে পুলিশ পিকেটিং থাকবে। ড্রোন, সিসিটিভি এবং ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।