সোনারপুরে পরকীয়ার ফাঁদে মৃত্যু! প্রেমিকের সঙ্গে স্বামীকে মারার ছক, উলটে প্রাণ গেল স্ত্রীর
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
এ যেন রীতিমতো হলিউডি থ্রিলার! প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের ছক কষেছিলেন স্ত্রী, কিন্তু সেই ষড়যন্ত্রই ঘুরে এল তাঁর দিকেই। নিজের জীবন হারাতে হল স্বামীর হাতেই। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার অন্তর্গত মাহিনগরে।
সূত্র অনুযায়ী, ক্যানিংয়ের হেরোভাঙা এলাকার বাসিন্দা বাপি গায়েন প্রায় আট বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন প্রতিবেশী প্রিয়াঙ্কাকে। পরে তাঁরা সোনারপুরের মাহিনগরে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। পাশের ঘরের বাসিন্দা সুপ্রকাশ দাসের সঙ্গে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে প্রিয়াঙ্কার সম্পর্ক। গোপন প্রেম বেশিদিন গোপন থাকেনি—স্বামী বাপি তা জানতে পেরে শুরু হয় সংসারে অশান্তি।
সুপ্রকাশ ভাড়া বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেলেও সম্পর্ক থামে না। মাঝে মধ্যেই ধানমাঠের এক বাড়িতে দেখা করতেন তারা। এই খবর পৌঁছয় বাপির কানে। তখনই নাকি প্রিয়াঙ্কা ও সুপ্রকাশ মিলে বাপিকে খুনের ছক কষতে থাকেন। একদিন ফোনে ষড়যন্ত্রের কথা শুনে ফেলেন বাপি। এরপরই উলটে পরিকল্পনা করেন স্ত্রীকেই হত্যা করার।
অভিযোগ, সোমবার গভীর রাতে স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা ঘুমিয়ে পড়লে বাপি তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। খুন করার পর কোনওরকম পালানোর চেষ্টা না করে সোজা সোনারপুর থানায় গিয়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ পরকীয়া সম্পর্ক। গোটা এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক আর শোক। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বাপি-প্রিয়াঙ্কার মধ্যে মাঝেমধ্যে অশান্তি হত, তবে এমন ভয়ঙ্কর পরিণতি কেউ ভাবতেও পারেননি।
পরকীয়ার আগুনে পুড়ে ছাই এক তরুণীর জীবন—তদন্তে নেমেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।