শুক্র সন্ধ্যায় গোধূলি লগ্নে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বঙ্গ বিজেপির রাফ অ্যান্ড টাফ দিলীপ ঘোষ। পাত্রী রিঙ্কু মজুমদার পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ও উত্তর কলকাতা বিজেপি মহিলা মোর্চার পর্যবেক্ষক। দিলীপবাবুর বিয়ে , ফুলের তোড়া এবং শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে সকালেই দিলীপ ঘোষকে নবজীবনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সতীর্থ কে নবজীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার , মঙ্গল পান্ডে সহ বিজেপি নেতৃত্ব। আর এবার বঙ্গ রাজনীতি রাফ অ্যান্ড টাফ ইমেজ ইমেজধারী দিলীপ ঘোষকে নবজীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানালেন কালারফুল মদন মিত্র।
মদনের সাফ কথা, “একটু লেট হল। তবে চিন্তা করবেন না! একটু বয়সে বিয়ে করলে সেই বিয়ের মাধুর্য আলাদা হয়।” একুশ তারিখে যাতে ‘বৌদিকে’ নিয়ে দিলীপ কেকেআরের খেলা দেখতে ইডেনে আসেন সেই অনুরোধও করলেন। একমুখ হাসিমুখ নিয়ে বললেন, “এই বিয়েটা বিজেপিতে একটা সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক প্রভাব ফেলবে।”
দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে আরতি মুখোপাধ্যায় থেকে মান্না দে , এমনকি রবি ঠাকুরকে টেনে আনলেন মদন মিত্র। বেশ রসিয়েই মদন বললেন, “ওনার স্ত্রী বলছিলেন একুশে পরিচয়, পঁচিশে পরিণয়। এটা শুনে একটা গানের কথা মনে পড়ে গেল। বলেই ধরলেন আরতি মুখোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত গান….এক বৈশাখে দেখা হল দু’জনার- জষ্ঠীতে হল পরিচয়। আসছে আষাঢ় মাস, মন তাই ভাবছে – কি হয় কি হয়! কিন্তু আষাঢ় তো এখনও আসেনি তাই দিলীপ বাবুর মনের মধ্যে একটা কবিতাই বাজছে।”
হাসতে হাসতেই বললেন, “বহু জায়গায় বাচ্চা ছেলেমেয়েরা স্লোগান দিচ্ছে, গান গাইছে। চাঁদ উঠেছে, ফুল ফুটেজে, কদমতলায় কে/ বাড়িতে আছে হুলো বেড়াল, কোমর বেঁধেছে/ সবাই মিলে আয়রে তোরা আজ আমাদের দিলীপ বাবুর বিয়ে!” তারপরই দিলীপের উদ্দেশ্যে তাঁর পরামর্শ, “একটু বয়সে বিয়ে করলে সেই বিয়ের মাধুর্য আলাদা হয়। কারণ অল্প বয়সে বিয়ের গুরুত্ব অতটা বোঝা যায় না। বড় বয়সে বিয়ে করলে দায়িত্ববোধ অনেক বেশি আসে।”
আবার টানলেন শুভেন্দুর প্রসঙ্গও। খানিক কৌতূহলের সঙ্গেই বললেন, “আমি জানি না দিলীপ বাবুর বিয়ে দেখে শুভেন্দুর মনে কী কোথাও বাজনা বাজছে! ওর মনে কী হচ্ছে জানি না। কারণ দেখলাম সবাই গিয়েছে, শুভেন্দু যায়নি।” তবে বিবাহিত দিলীপকে পরমার্শের বন্যার মধ্যে মদন ‘অ্যাডভাইজ’ দিলেন নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই। হাসতে হাসতেই বললেন, “আর আপনি লাঠি বেশি ঘোরাবেন না। এখন যেভাবে আপনি লাঠি ঘোরান সেটা দেখলে ম্যাডাম ভয় পেয়ে যাবেন। এখন লাঠি ঘোরানো বন্ধ করে বৌদিকে ঘোরান। কাশ্মীরে নয়, শিলংয়েও নয়। সব জায়গা ঘোরান। ইস্তানবুল থেকে জাপান, সব ঘোরান। ভাল ভাল রান্না খাওয়ান।”