বাড়ি থেকে অপহরণ, বাংলাদেশে হিন্দু নেতাকে পিটিয়ে খুন, ইউনুসের শাসনে আতঙ্কে সংখ্যালঘু সমাজ
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
বাংলাদেশে ফের সংখ্যালঘু হিন্দুর উপর চরম আঘাত। দিনদুপুরে অপহরণের পর মারধর করে খুন করা হল এক হিন্দু নেতাকে। কিছুদিন আগেই ভারতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে মন্তব্য করেছিল মহম্মদ ইউনুসের প্রশাসন। অথচ নিজ দেশে সংখ্যালঘুদের উপর লাগাতার হামলা, নির্যাতন আর হেনস্থার ঘটনা উঠে আসছে বারবার। এখনও কারাবন্দি রয়েছেন ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভু। ভাঙচুর চলছে একের পর এক মন্দিরে। এই পরিস্থিতিতে ভবেশচন্দ্র রায়ের নৃশংস খুন আরও একবার কাঁপিয়ে দিল জনমত। প্রশ্ন উঠছে—“এটাই কি সেই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ?”
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নিহত ভবেশচন্দ্র রায় দিনাজপুর জেলার বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বিরাল শাখার সহ-সভাপতির পদে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি অজানা নম্বর থেকে ভবেশবাবুকে ফোন করা হয়। পুলিশের কাছে তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা জানতে চায় তিনি বাড়িতে আছেন কি না। সেই ফোন কলের প্রায় আধ ঘণ্টার মধ্যেই চারজন দুষ্কৃতী দুটি বাইকে করে এসে ভবেশবাবুকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। তাঁকে নরাবাড়ি গ্রামে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে অচৈতন্য অবস্থায় বাড়ির কাছেই ফেলে রেখে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই বর্বর ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে হিন্দু সমাজের মধ্যে। বিরাল থানার ওসি আবদুস সবুর শুক্রবার বলেন, “আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। মামলা দায়ের হয়েছে। যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।”
উল্লেখ্য, এক স্বতন্ত্র বাংলাদেশি রিপোর্ট অনুযায়ী, শেখ হাসিনা সরকার পতনের মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে দেশে খুন হয়েছেন ৩২ জন হিন্দু। ধর্ষণ বা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৩ জন সংখ্যালঘু নারী। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ১৩৩টি মন্দির। বর্তমানে এই সংখ্যা আরও বেড়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও এই অমানবিক ঘটনা নিয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকায় ইউনুস প্রশাসন—সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।