প্রযুক্তি

সৌরজগতের বাইরে খোঁজ মিলল ‘দ্বিতীয় পৃথিবী’র? প্রাণের সম্ভাবনায় নতুন আশার আলো

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

সৌরজগতের বাইরে খোঁজ মিলল ‘দ্বিতীয় পৃথিবী’র? প্রাণের সম্ভাবনায় নতুন আশার আলো - West Bengal News 24

সৌরজগতের বিশাল বিস্তারে এখন পর্যন্ত প্রাণের অস্তিত্ব শুধু আমাদের সবুজ-নীল পৃথিবীতেই পাওয়া গেছে। বছরের পর বছর ধরে বহু গবেষণা হলেও এখনও মেলেনি এমন আর কোনো গ্রহের খোঁজ, যেখানে প্রাণ থাকতে পারে। বিজ্ঞানীরা যদিও থেমে থাকেননি—অবিরাম চেষ্টায় তাঁরা খুঁজে চলেছেন আরেকটি বাসযোগ্য গ্রহ, যেটি হতে পারে পৃথিবীর বিকল্প। কখনও কিছু লক্ষণ উদ্ভাসিত হলেও শেষ পর্যন্ত তা প্রমাণিত হয়নি। জল, বাতাস, অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনসমৃদ্ধ আরেকটি গ্রহের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেন দুঃস্বপ্নের মতো।

তবুও আশার আলো দেখাচ্ছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাঁদের মতে, সৌরজগতের বাইরে এক রহস্যময় গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। যদিও এই সম্ভাবনাকে নিশ্চিত করতে অপেক্ষা করতে হবে আরও এক বা দুই বছর। এমনটাই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

এই সম্ভাবনাময় গ্রহটির নাম K2-18B। এটি একটি ভিন্ন সৌরজগতের অংশ এবং পৃথিবী থেকে বহু আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। গবেষকদের মতে, এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলে এমন কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়, যা সহজেই জৈব অণু তৈরিতে সহায়ক। আর জৈব অণুই তো প্রাণের অন্যতম পূর্বশর্ত! কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এই গ্রহের অস্তিত্ব শনাক্ত করেছেন। তাঁদের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, গ্রহটি আকারে পৃথিবীর চেয়ে প্রায় আড়াই গুণ বড় এবং এটি অবস্থান করছে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে।

গ্রহটির আকাশে একটি লাল রঙের নক্ষত্র আছে, যার চারদিকে ঘুরছে K2-18B। শক্তিশালী টেলিস্কোপের সাহায্যে বিজ্ঞানীরা এর বায়ুমণ্ডলের রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ করে বেশ কিছু ইতিবাচক তথ্য পেয়েছেন। তাঁদের মতে, সেখানে এমন পরিবেশ রয়েছে, যেখানে জৈব অণুর সৃষ্টি এবং স্থায়িত্ব সম্ভব।

এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী নিক্কু মধুসূদন বলেন, “ওই গ্রহের আবহাওয়ার মূল রাসায়নিক উপাদান ডাইমিথাইল সালফাইড ও ডাইমিথাইল ডিসালফাইড। জলজ প্রাণী, ব্যাকটেরিয়া এই দুটি গ্যাস সরবরাহ করে আমাদের পৃথিবীকে, যা প্রাণধারণের অন্যতম মৌলিক উপাদান। এখন দেখার বিষয়, K2-18B গ্রহে এই দুটি গ্যাসের পরিমাণ কতটা আছে? তা যদি প্রাণী বেঁচে থাকার পক্ষে পর্যাপ্ত হয়, তাহলে বলতেই হবে যে এই ছায়াপথে আমাদের পৃথিবী ছাড়াও কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও দু, এক বছর সময় লাগবে।”

অপেক্ষা যতই দীর্ঘ হোক না কেন, মানবজাতির একটাই প্রত্যাশা—যেন একদিন পৃথিবীর এই নিঃসঙ্গতা ঘোচে, সূর্যের আলো ছুঁয়ে আসে আরেকটি প্রাণভরা পৃথিবীর খবর।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য