
প্রথমে ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেই বিপর্যস্ত ইনিংস কিছুটা সামাল দেন হেনরিখ ক্লাসেন। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন রোহিত শর্মা। হায়দরাবাদকে হারিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টস হেরে আগে ব্যাট করে হায়দরাবাদ তোলে ‘৮ উইকেটে ১৪৩ রান’। জবাবে মাত্র ‘১৫.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান’ করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মুম্বই।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে চাপের মুখে নেমে “২৭ বলে ৫২ রান” করেছিলেন ক্লাসেন। তবে চলতি আইপিএলে ছন্দে ছিলেন না তিনি। হায়দরাবাদের ব্যাটিং ধসের দিনে সেই পুরনো ক্লাসেনকে ফিরে পাওয়া গেল।
মুম্বইয়ের মাঠে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে হায়দরাবাদ। ট্রেভিস হেড, অভিষেক শর্মা, ঈশান কিশন, নীতীশ কুমার রেড্ডি এবং অনিকেত বর্মারা দ্রুত ফিরে যান। এই অবস্থায় ক্লাসেনের সঙ্গে জুটি গড়েন তরুণ অভিনব মনোহর। প্রথম দিকে ম্যাচ যেভাবে এগোচ্ছিল, তাতে একতরফা মনে হচ্ছিল। কিন্তু ক্লাসেনের দাপটে কিছুটা লড়াই ফিরে আসে।
এ দিন ক্লাসেন হয়তো ম্যাচ জেতাতে পারেননি, কিন্তু দেখিয়ে দিলেন যে তিনিও দক্ষিণ আফ্রিকার “চোকার্স” ছক থেকে আলাদা। ট্রেন্ট বোল্ট, দীপক চহর, জসপ্রীত বুমরাহ, মিচেল স্যান্টনার এবং হার্দিক পাণ্ড্যদের বলের সামনে দাঁড়িয়ে সাহসের সঙ্গে লড়লেন তিনি।
অভিনব (৩৭ বলে ৪৩) এবং ক্লাসেন (৪৪ বলে ৭১)-এর মধ্যে “৯৯ রানের জুটি” হায়দরাবাদকে কিছুটা লড়ার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয়। তারই জবাবে পুরনো ছন্দে ফিরলেন রোহিত।
গত “২৯ জুন ব্রিজটাউনের” মাটিতে বিশ্বজয়ের পর এবার আইপিএলে দেখা গেল সেই চেনা হাসি। ম্যাচে রান তাড়া করতে নামার সময় তেমন চাপ ছিল না। রোহিত খোলামেলা ব্যাট করলেন এবং দারুণ এক ইনিংস খেললেন।
চলতি আইপিএলে তিনিও ধারাবাহিকভাবে রান পাচ্ছিলেন না। তবে এ দিন নিজের ছন্দে ফিরে আসলেন। হায়দরাবাদ একসময় ছিল রোহিতের দ্বিতীয় বাড়ি। “ডেকান চার্জার্সের” হয়ে খেলে আইপিএল জিতেছিলেন। সেই উপ্পল স্টেডিয়ামে এবার ফের জ্বলে উঠলেন তিনি। রায়ান রিকেলটন (১১) এবং উইল জ্যাকস (২২) বড় রান না পেলেও রোহিতের “৪৬ বলে ৭০ রানের” ইনিংস সব কিছু সহজ করে দেয়। ইনিংসটি সাজানো ছিল “৮টি চার ও ৩টি ছয়” দিয়ে।
তার পাশাপাশি চেনা মেজাজে দেখা গেল সূর্যকুমার যাদবকেও। তিনি “১৯ বলে ৪০ রান” করে অপরাজিত থাকেন।
আইপিএল যত এগোচ্ছে, তত এগোচ্ছে হার্দিক পাণ্ড্যের দলও। এটি ছিল তাদের নবম ম্যাচ, আর এই নিয়ে তারা পেল পঞ্চম জয়। ব্যাটে রোহিত ও সূর্যকুমার ছন্দে থাকলে, বোল্ট ও বুমরাহদের নিয়ে দল আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলেই আশা করছে মুম্বই শিবির।