“পহেলগাঁও হামলার” ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এবার বড় কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে ভারত? দিল্লির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি অন্তত সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে। সোমবারের পর মঙ্গলবারও “প্রধানমন্ত্রী” নরেন্দ্র মোদির ৭ নম্বর লোককল্যাণ মার্গের বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান এবং স্থল, নৌ ও বায়ু—তিন বাহিনীর প্রধানেরা।
এই মঙ্গলবার “পহেলগাঁও হামলার” ঠিক এক সপ্তাহ পেরিয়েছে। অথচ যারা ২৬ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে, তারা এখনো অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি তল্লাশি ও অভিযানের পরেও মূল অভিযুক্তদের ধরা যায়নি। এই অবস্থায় “পাকিস্তান”কে কড়া জবাব দেওয়ার বার্তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। তাই মঙ্গলবারের এই বৈঠককে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখযোগ্যভাবে, সোমবারও ঠিক একই জায়গায় এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছিল।
এখন দেশের প্রতিটি প্রান্তেই প্রশ্ন উঠছে—”পহেলগাঁও হামলার” জবাবে কী পদক্ষেপ নেবে ভারত? “প্রধানমন্ত্রী” নরেন্দ্র মোদি আগামী দিনের কৌশল নির্ধারণে বুধবার আরেকটি হাই লেভেল বৈঠক ডেকেছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই বৈঠকে থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও সেনাপ্রধান অনিল চৌহান। “মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি” বুধবার সকাল ১১টার সময় বৈঠকে বসবে। এরপর “রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি”ও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বৈঠক করবে।
এছাড়াও এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন পর্যটনমন্ত্রী নীতীন গড়করি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। বৈঠক শেষে “মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি”রও পৃথক আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সব মিলিয়ে “বুধবার” দিন জুড়ে দিল্লিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মিটিং হতে চলেছে। তার আগে মঙ্গলবারের এই বৈঠক বড় কোনও সামরিক বা কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাহলে কি “প্রধানমন্ত্রী” সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন? না কি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী পদক্ষেপ স্থির করছেন? “কাশ্মীর” উপত্যকায় ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের মতে “বারুদের গন্ধ” স্পষ্টভাবে টের পাওয়া যাচ্ছে।