ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখলের স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশ, চিনের মদতে যুদ্ধকৌশলের ইঙ্গিত
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় কেঁপে উঠেছে বিশ্ব। এই ঘটনার জেরে যে কোনও সময় পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিতে পারে ভারত — এমনটাই জল্পনা ক্রমেই জোরাল হচ্ছে। পরিস্থিতি যুদ্ধের দিকেই এগোচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর ঠিক সেই সময়েই অদ্ভুত রকমের আগ্রাসী স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। দিল্লি-ইসলামাবাদ সংঘাতে জড়ালে, বাংলাদেশ নাকি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখল করার পথে হাঁটবে — আর সেই পরিকল্পনায় পাশে পাবে চিনকে। এই মন্তব্য করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন ওপার বাংলার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান।
সম্প্রতি চিন সফরে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস বলেন, “ভারতের পূর্ব প্রান্তের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়, ওই বিরাট অঞ্চল কিন্তু পাহাড় আর স্থলভাগে ঘেরা। সমুদ্রপথে যোগাযোগ করার উপায়ই নেই তাদের। বাংলাদেশই হল সমুদ্রপথের রাজা। তাই ওই এলাকায় চিনা অর্থনীতির বিস্তার ঘটতেই পারে।” তার এই বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার, ভারতীয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রাজনৈতিক ও কৌশলগত দৃষ্টি রয়েছে ঢাকার। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই একই উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে চিনও। যদিও সেই প্রয়াস বারবার ব্যর্থ হয়েছে। ঢাকার এই মন্তব্যকে হালকাভাবে নেয়নি দিল্লি। এর জবাবে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশকে ব্যবসার সুবিধা দেওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার।
এবার ফেসবুকে বিস্ফোরক মন্তব্য করে ফজলুর রহমান লেখেন, “যদি পাকিস্তানের উপর ভারত হামলা চায় তাহলে বাংলাদেশের উচিত ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো দখল করে নেওয়া। আমার মনে এই সময় যৌথ সামরিক অভিযানের জন্য চিনের সঙ্গে আলোচনায় বসা।” তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রধান পদে ছিলেন। বর্তমানে ইউনুসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবেই পরিচিত এবং তাঁকেই পরামর্শ দিয়েছিলেন চিনের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে।
শেখ হাসিনা অনুপস্থিত থাকায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। বদলেছে কূটনৈতিক অবস্থানও। এখন পদ্মার পাড়ে ভারত-বিরোধী বাতাবরণ জোরদার হয়েছে। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ঢাকার উপর প্রভাব বিস্তারে তৎপর হয়ে উঠেছে চিন ও পাকিস্তান। এই দুই দেশের কর্মকর্তাদের আনাগোনাও বেড়েছে। তবে আপাতত বিশ্বের নজর কেন্দ্রীভূত ভারতের দিকে। পহেলগাঁও হামলার প্রাথমিক তদন্তে এনআইএ দাবি করেছে — এই ঘটনায় লস্কর, পাকিস্তান সেনা এবং আইএসআই-এর যৌথ ষড়যন্ত্র রয়েছে। ফলে যুদ্ধ ঘনিয়ে আসছে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, বাংলাদেশ ভাল করেই জানে ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক কেমন। আর বর্তমান ‘নতুন’ বাংলাদেশ যে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতায় মুগ্ধ, তাও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তাই যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে ইউনুস কোন পক্ষে থাকবেন, তা বুঝতে আর বিশেষ কষ্ট নেই।