সোমবার ঝটিকা সফরে মুর্শিদাবাদে মুখ্যমন্ত্রী, জেলায় প্রস্তুতি তু্ঙ্গে
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
মুর্শিদাবাদ জেলায় ঝটিকা সফরে সোমবার রাতে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মঙ্গলবার, অর্থাৎ ৬ মে সকালেই তিনি বহরমপুর থেকে হেলিকপ্টারে করে রওনা দেবেন সামশেরগঞ্জ ব্লকের ধুলিয়ানের উদ্দেশ্যে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও দোকানদারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, ধুলিয়ান ফুটবল মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য একটি হেলিপ্যাড তৈরি করা হচ্ছে।
সামশেরগঞ্জে কর্মসূচি শেষ করে তিনি সোজা যাবেন সুতির ছাবঘাটি ময়দানে একটি প্রশাসনিক জনসভায় যোগ দিতে। সেখানে তিনি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তাদের হাতে সুবিধা তুলে দেবেন, পাশাপাশি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসও করবেন।
মেদিনীপুরে অনুষ্ঠিত এক জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি ধুলিয়ানে যাবেন ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করতে। তাঁর এই সরকারি সফর ঘিরে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী সোমবার রাতে ট্রেনে বহরমপুর পৌঁছে সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করবেন। পরদিন সকালেই বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে করে তিনি ধুলিয়ানে যাবেন।
জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, “সামশেরগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং তাঁদের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সুতিতে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি।”
রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি গৌতম ঘোষ জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’পাশে ব্যানার, পোস্টার, গেট তৈরি করা হচ্ছে। নেত্রী আসছেন উস্কানিমূলক বক্তব্যে অশান্তি ছড়ানো ব্যক্তিদের কড়া বার্তা দিতে।”
তৃণমূল সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় প্রায় ২০ হাজার মানুষের সমাগম হতে পারে। এজন্য শীর্ষ নেতৃত্ব বিভিন্ন বুথ ও অঞ্চল কমিটিকে বাস এবং যানবাহনের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার জানান, “মুখ্যমন্ত্রী জেলার ২৬টি ব্লক ও ৮টি পুরসভার উন্নয়নের বার্তা নিয়ে আসছেন। শুধু আমাদের সাংগঠনিক জেলা থেকেই প্রায় ১০ হাজার কর্মী-সমর্থক সুতিতে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে।”
এই সফরের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক বার্তা দুই-ই দিতে চলেছেন বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।