পাকিস্তানের জলসঙ্কট আরও ঘনাচ্ছে, চন্দ্রভাগার জল আটকে ভারতের ‘নতুন কৌশল’
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
শুধু কথায় নয়, বাস্তব পদক্ষেপে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করছে ভারত। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর এবার আরও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। চেনাব তথা চন্দ্রভাগা নদীর উপর নির্মিত বাগলিহার বাঁধ থেকে জল সরবরাহ বন্ধ করেছে ভারত। সূত্র অনুযায়ী, কেন্দ্র বান্দিপোরার কাছে অবস্থিত কৃষ্ণগঙ্গা বাঁধ থেকেও জল আটকে দেওয়ার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে।
বাগলিহার বাঁধে জল আটকে রাখার ফলে পাকিস্তানে তীব্র জলসঙ্কট তৈরি হতে পারে, কারণ এই নদীর জলই দীর্ঘদিন ধরে সে দেশে প্রবাহিত হচ্ছিল। যদিও বাঁধটির জল ধরে রাখার ক্ষমতা সীমিত, তবুও এই পদক্ষেপ ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের প্রেক্ষিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পাকিস্তানের কৃষি নির্ভরতা মূলত সিন্ধু ও তার শাখা নদীগুলোর জলের উপর নির্ভর করে, যার পরিমাণ প্রায় ৮০ শতাংশ।
Reuters সূত্রে জানা গেছে, কাশ্মীরের দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের রিজার্ভার সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছে ভারত সরকার। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত থাকায় পাকিস্তানকে এই উন্নয়ন সম্পর্কে কোনওরকম তথ্য দেওয়া হয়নি।
ইসলামাবাদ যতই ‘ধ্বংস’-এর হুঁশিয়ারি দিক না কেন, ভারত তাতে কান না দিয়েই গত বৃহস্পতিবার থেকে ‘রিজার্ভার ফ্লাশিং’-এর কাজ শুরু করেছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে NHPC Limited এবং জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায়।
সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁধ নির্মাণের পর এই প্রথম এমনভাবে জলাধার খালি করার উদ্যোগ নেওয়া হল। এই প্রক্রিয়া টারবাইনের রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতাও বাড়াবে। “অ্যাডজাস্টেবল গেট” খুলে পলি সরানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রভাগা নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা বাগলিহার বাঁধ থেকে জল ছাড়তে দেখেছেন।
যদিও বাঁধ থেকে জল ছাড়ার ফলে ও রিজার্ভার বাড়ানোর কাজ পাকিস্তানে এখনও বড় প্রভাব ফেলছে না, তবে আগামী দিনে যদি আরও জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়, তাহলে পরিস্থিতি বদলাতে বাধ্য। কারণ ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় এক ডজনেরও বেশি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু রয়েছে।
ভারতের এই পদক্ষেপ, বিশেষ করে সালাল ও বাগলিহার প্রকল্প নিয়ে, পাকিস্তানকে কোনওরকম বার্তা দেওয়া হয়নি।