যুদ্ধ পরিস্থিতির ইঙ্গিত? পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে নজরে এল NSG কমান্ডো, বাড়ছে উদ্বেগ

বর্তমান পরিস্থিতিতে যেন যুদ্ধের ছায়া ঘনিয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একের পর এক বৈঠকে বসছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে। বুধবার দেশের বিভিন্ন অংশে—including পশ্চিমবঙ্গ—অনুশীলন হিসেবে অসামরিক মহড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে নিরাপত্তা বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে। এই পটভূমিতে, মঙ্গলবার পুরীর বিখ্যাত জগন্নাথ মন্দিরে দেখা গেল NSG কমান্ডোদের তৎপরতা। প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ করে এত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কারণ কী?

পুরীর পুলিশ সুপার বিনীত অগরওয়াল জানিয়েছেন, “এদিন জগন্নাথ মন্দিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন এনএসজি কমান্ডোর চার সদস্যের প্রতিনিধিদল। প্রতি বছরের মতোই নিয়ম মাফিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছেন ওই প্রতিনিধিদল।”

প্রসঙ্গত, এই মন্দিরে সারা বছরই বিপুল সংখ্যক ভক্তের আগমন ঘটে। তাই মন্দিরে প্রবেশ ও বাহিরের পথ, জমায়েত নিয়ন্ত্রণ, জরুরি পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি এবং পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে সমন্বয়—এই সব দিক খতিয়ে দেখেছে NSG-এর প্রতিনিধি দল।

এদিকে, আগামী ৭ মে, বুধবার, দেশের নাগরিকদের সচেতন করতে একযোগে অসামরিক মহড়া আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দেশের ২৭টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট ২৫৯টি স্থানে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি জেলার ৩১টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই তালিকায় রয়েছে: কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদহ, শিলিগুড়ি, কলকাতা ও আশপাশ, দুর্গাপুর, হলদিয়া, হাসিমারা, খড়গপুর, বার্নপুর-আসানসোল, ফারাক্কা-খেজুরিয়াঘাট, চিত্তরঞ্জন, বালুরঘাট, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দিনহাটা, মেঘলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, কালিম্পং, জলঢাকা, কার্শিয়াং, কোলাঘাট, বর্ধমান, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি এবং মুর্শিদাবাদ।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করবেন জেলাশাসক, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা, সিভিল ডিফেন্সের সদস্য, হোমগার্ড বাহিনীসহ এনসিসি ক্যাডেট, নেহরু যুব কেন্দ্রের সদস্য এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা।