সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে পাকিস্তানের আশঙ্কা, বিশ্বব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে কোনো হস্তক্ষেপ নয়: মোদিকে প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার আশ্বাস
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
সিন্ধু নদীর জলবন্টন চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানের আপত্তি থাকলেও, বিশ্বব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে কোনও কার্যকর সাড়া মিলছে না। ভারতের সিদ্ধান্তের পর ইসলামাবাদ জলসংকটের আশঙ্কায় দিশেহারা হলেও, বিশ্বব্যাঙ্ক পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে—তারা এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন বিশ্বব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা।
গত বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করেন অজয় বাঙ্গা। একইসঙ্গে তিনি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন। যদিও এই সাক্ষাৎকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে, তবুও সিন্ধু চুক্তি বিষয়ক আলোচনা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের বরাত অনুযায়ী, বিশ্বব্যাঙ্ক প্রেসিডেন্ট আশ্বাস দিয়েছেন যে, ভারত চুক্তি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিলেও তারা সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।
বিশ্বব্যাঙ্কের পূর্ববর্তী ভূমিকার কথা মাথায় রেখে বলা যায়, যদিও ১৯৬০ সালের চুক্তি তাদের মধ্যস্থতায় সই হয়েছিল, তবে চুক্তি বাস্তবায়নের সময় উত্থাপিত অভিযোগ বা আপত্তির নিষ্পত্তি করা তাদের দায়িত্ব নয়। অজয় বাঙ্গা এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমরা শুধু ওই বিশেষজ্ঞদের খরচটা একটা তহবিল থেকে মেটাবো। ওই তহবিলও চুক্তির সময় তৈরি হয়েছিল। এর বাইরে আমাদের আর কোনও দায়িত্ব নেই।”
উল্লেখযোগ্য, ১৯৬০ সালে ভারতের শতদ্রু, বিপাশা ও রবি নদীর জল ব্যবহারের পূর্ণ অধিকার স্বীকৃত হয়। অন্যদিকে পাকিস্তান সিন্ধু, ঝিলম ও চন্দ্রভাগার জল পায় বেশিরভাগ অংশে। চুক্তি অনুসারে চন্দ্রভাগা ও বিতস্তার জলে পাকিস্তানের অংশ ৮০ শতাংশ, ভারতের ভাগ ২০ শতাংশ। যদিও, ভারত কিছু নির্দিষ্ট শর্তে বাঁধ নির্মাণ করতে পারে। দীর্ঘদিন ধরেই নয়াদিল্লি এই চুক্তি সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছিল, ইসলামাবাদ যেকোনও বাঁধ প্রকল্পে আপত্তি জানিয়ে এসেছে বারবার। এমনকি গত বছর সেপ্টেম্বরে ভারত কড়া ভাষায় ইসলামাবাদকে একটি নোটিসও পাঠায়। এবার পহেলগাঁও হামলার জেরে ভারত চুক্তি স্থগিতের পথে হাঁটায় পাকিস্তান একে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণার সামিল বলেই চিহ্নিত করেছে।