গত কয়েক মাস ধরেই ধর্মীয় মনোভাব ক্রমশ দৃঢ় হয়েছে বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মার মধ্যে। কখনও তাঁদের দেখা গিয়েছে লন্ডনের ইসকন মন্দিরে ভজন-নাম সংকীর্তনে অংশ নিতে, কখনও বা বারাণসির মন্দিরে পুজো দিতে। আর সোমবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণার পর, সোজা পৌঁছে গেলেন বৃন্দাবনে। তাঁদের পরনে ছিল সাদা পোশাক, মুখে ছিল এক ধরণের আধ্যাত্মিক প্রশান্তি। আশীর্বাদ নিলেন প্রেমানন্দ মহারাজের কাছ থেকে।
চোদ্দ বছরের দীর্ঘ টেস্ট কেরিয়ারের পর সোমবারেই বিরাট কোহলি তাঁর অবসরের কথা ঘোষণা করেন। এমন একটি ঘোষণায় بط当然ভাবে দেশজুড়ে ক্রিকেটভক্তদের মনে নেমে আসে আবেগের ঢেউ। তাঁর এই সিদ্ধান্তের অভিঘাত কাটিয়ে ওঠার আগেই, মঙ্গলবার সকালেই বৃন্দাবনের পথে দেখা গেল তাঁকে অনুষ্কার সঙ্গে। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁরা গাড়িতে বসে রয়েছেন—সাদা পোশাকে, মুখে মাস্ক। একদম সেই সাদা রঙ, যেটি ছিল বিরাটের টেস্ট জার্সির রঙ—আর যেটি তাঁকে আর ক্রিকেট মাঠে পরতে দেখা যাবে না বলে অনুরাগীরা আক্ষেপ করেছিলেন। ক্যামেরাবন্দি হয়ে যায় সেই বিশেষ মুহূর্ত।
বলিউড সূত্রে খবর, তাঁরা গিয়েছিলেন প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরণজি মহারাজের আশীর্বাদ নিতে। সেখানে বিরাট ও অনুষ্কা—দু’জনকেই একাগ্র হয়ে প্রার্থনা করতে দেখা যায়। অনুষ্কার চোখে ছিল জল, আর আশীর্বাদস্বরূপ তিনি গ্রহণ করেন একখানি হলুদ উত্তরীয়।
তবে এটাই তাঁদের প্রথম যাত্রা নয় এই মহারাজের কাছে। অতীতেও বহুবার তাঁরা গিয়েছেন তাঁর দরবারে। গত জানুয়ারিতে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ঠিক আগে তাঁরা মহারাজের শরণাপন্ন হন। তখনও তাঁদের ছবি ভাইরাল হয় বৃন্দাবনের আশ্রম থেকে। সেবার কিং কোহলি পেয়েছিলেন ‘দেশসেবক’-এর সম্মান। এবারও, টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার পর আশীর্বাদ গ্রহণের জন্য তাঁদের উপস্থিতি ছিল সেই একই পবিত্র স্থানে।