
বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইকের পর প্রথম প্রকাশ্যে জনসভা করেছিলেন রাজস্থানের বিকানেরে। এবার অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) চালিয়ে পাকিস্তানে কড়া জবাব দেওয়ার পরেও, সেই একই জায়গা থেকে ফের জনসভায় হাজির হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সভার শুরুতেই পাকিস্তানকে উদ্দেশ করে তীব্র বার্তা দেন তিনি। মোদি (PM Modi) বলেন, “২২ এপ্রিল ধর্ম বেছে বেছে খুন করেছিল। ২২ মিনিটে সেই হামলার বদলা নিয়েছি। ফের হামলা হলে ফের প্রত্যাঘাতও হবে। আর সেটা হবে আমাদের নিজেদের শর্তে।”
অপারেশন চলাকালীন দিল্লি থেকেই গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখেছিলেন প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, বিদেশ মন্ত্রক ও সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে, পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গেও ছিলেন সরাসরি সংযুক্ত। এর আগেও জাতির উদ্দেশে ভাষণে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেছিলেন তিনি। কিন্তু রাজস্থানের মঞ্চে তাঁর কণ্ঠে ছিল আরও জোরালো ও আগ্রাসী সুর। তাঁর কথায়, “২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও হামলায় ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে আহত করেছিল। সরকার ৩ বাহিনীকে ফ্রি হ্যান্ড দিয়েছিল। পাকিস্তানকে তছনছ করে দিয়েছি। এর আগে আমরা পাকিস্তানে ঢুকে মেরেছিলাম। এবার পাকিস্তানের বুকে মেরেছি। যারা সিঁদুর মুছেছে তাঁদেরই মুছে দেওয়া হয়েছে। রহিম ইয়ার খান এয়ারবেস এখনও আইসিইউতে।”
মোদি আরও বলেন, “এই মাটির দিব্যি, দেশের ক্ষতি হতে দেব না। আমরা কথা দিয়েছিলাম বদলা নেব, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি। সিঁদুর যখন বারুদ হয়, ফল দেখল দেশবাসী। মোদির মাথা ঠান্ডা থাকে কিন্তু রক্ত গরম থাকে। এখন আমার শরীরে গরম সিঁদুর বইছে। যারা ভারতকে রক্তাক্ত করেছে তাঁদের হিসাব মিটিয়েছি। এটা শুধু আক্রোশ নয়, গোটা ভারতের রুদ্ররূপ, এটাই ভারতের আসল স্বরূপ। এটা শোধ বা বদলার খেলা নয়, এটাই ন্যায়ের স্বরূপ।”
তিনি এ-ও জানান, ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা হলে জবাব দেওয়া হবেই। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “৩ বাহিনীকে ফ্রি হ্যান্ড দিয়ে রেখেছে সেনা। কখন বদলা, ঠিক করবে সেনা। বদলা নিতে সেনার শর্তই শেষ কথা। হামলা করলে জবাব মিলবেই।”
সরাসরি পাকিস্তানকে নিশানা করে মোদি বলেন, “গোটা বিশ্বে পাকিস্তানের মুখোশ খোলা হবে। কোনটা স্টেট অ্যাক্টর কোনটা নন স্টেট অ্যাক্টর এসব চলবে না। ওদের সঙ্গে ট্রেন নয়, ওদের জল দেওয়া নয়, কোনওরকম কোনও আলোচনা নয়।”