জাতীয়

মার্কিন দাবি উড়িয়ে দিল ভারত, সংঘর্ষবিরতিতে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকায় ইতি টানলেন জয়শংকর

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

S. Jaishankar : মার্কিন দাবি উড়িয়ে দিল ভারত, সংঘর্ষবিরতিতে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকায় ইতি টানলেন জয়শংকর - West Bengal News 24

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও হাত ছিল না—এই বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S. Jaishankar)। এক সাক্ষাৎকারে তিনি ব্যাখ্যা করেন, পাকিস্তানই প্রথম সংঘর্ষ বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছিল, আর সেই প্রেক্ষিতে ভারত সাড়া দিয়েছিল। তাঁর কথায়, এই আলোচনায় তৃতীয় কোনও পক্ষ জড়িত ছিল না। উল্লেখযোগ্যভাবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পূর্বে কয়েকবার দাবি করেছিলেন যে তিনিই ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ থামাতে মূল ভূমিকা পালন করেছেন।

পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পাল্টা জবাব দিতে ৬ মে গভীর রাতে পাকিস্তানে ‘জঙ্গি ঘাঁটি’ লক্ষ্য করে ভারতীয় সেনাবাহিনী চালায় অপারেশন সিঁদুর। পাকিস্তান পালটা আঘাত হানার চেষ্টা করলেও, ভারতের শক্ত প্রতিরক্ষা বলয়ের কারণে তা ব্যর্থ হয়। ভারতের পাল্টা অভিযানে বিপর্যস্ত হয়ে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়। এরপর, সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেই ভারতের তরফ থেকে আলোচনায় বসা হয়। অবশেষে ১০ মে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মতি দেয় উভয় পক্ষ।

এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছিলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে দীর্ঘ কথা বলার পর ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে যেতে রাজি হয়েছে। পরমাণু শক্তিধর দুই দেশকে চাপ দিয়ে সংঘর্ষবিরতি করেছি। যুদ্ধ না থামালে বাণিজ্যেও না, হঁশিয়ারি দিয়েছিলাম। তাতেই কাজ হয়েছে।’ যদিও ভারত সরাসরি এই বক্তব্যকে প্রতাখ্যান করেনি, তবে নয়াদিল্লির অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট ছিল যে, এই বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষ জড়িত ছিল না। দুই দেশের ডিজিএমও স্তরে আলোচনা করেই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

তবে এবারই প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করলেন এস জয়শংকর (S. Jaishankar)। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “পাক সেনার তরফ থেকে আমাদের বার্তা পাঠানো হয়েছিল যে তারা আক্রমণ থামাতে চায়। আমরা সেই বার্তার যথোপযুক্ত উত্তর দিয়েছি।” যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে তাঁর মন্তব্য, “আমেরিকা তো আমেরিকাতেই ছিল। তাদের বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স যথাক্রমে আমার সঙ্গে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে সেটা কেবলমাত্র উদ্বেগ প্রকাশের জন্য।” পরিস্কার করে তিনি জানান, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের যেকোনো সমস্যা শুধুমাত্র দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা হবে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য