পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ড্রোন ওড়ানোর অভিযোগ, মহাকালেশ্বরেও যান ইউটিউবার জ্যোতি – উদ্দেশ্য কী?

ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রা কি সত্যিই পাকিস্তানের গুপ্তচর? আইনত বিষয়টি এখনও প্রমাণ হয়নি, তবে তাঁকে ঘিরে ধোঁয়াশা বাড়ছে প্রতিদিন। দেশ ও বিদেশের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ানো জ্যোতির ইউটিউব ভ্রমণ ভিডিও রয়েছে কলকাতারও। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ৯টি রাজ্যের পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায়। এই প্রেক্ষিতে হরিয়ানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ওড়িশা ও মধ্যপ্রদেশ পুলিশ।

২০২৪ সালে জ্যোতি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে যান এবং সেই সফরের ভিডিও তৈরি করেন। অভিযোগ, তিনি সেই সময় “জগন্নাথ মন্দিরের আকাশে ড্রোন ওড়ান”, যা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এখানেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন— কীভাবে তিনি নিরাপত্তা বেষ্টনী পার করে ড্রোন ওড়াতে সক্ষম হলেন? এবং কেন তিনি তা করলেন? এমনকি সন্দেহ উঁকি দিচ্ছে, এই কাজের পেছনে কি কোনও ষড়যন্ত্র লুকিয়ে ছিল?

ওড়িশা পুলিশ ইউটিউবার জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এই সমস্ত বিষয় নিয়েই। তবে আরও একটি গুরুতর প্রশ্ন সামনে এসেছে— ‘সংবেদনশীল এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে সেই ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করা হল’, সেটি ভাইরাল হয়ে লাখো মানুষ দেখলেন, অথচ প্রশাসনের চোখে পড়ল না কেন? প্রশাসন এতদিন কী করছিল, উঠছে সেই প্রশ্নও।

জ্যোতির ভ্রমণের তালিকায় রয়েছে মধ্যপ্রদেশের “মহাকালেশ্বর মন্দির”-ও। সেই ভ্রমণের ভিডিও ইউটিউবেও দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশ পুলিশের তরফে তাঁকে একবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। উজ্জয়িনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নীতেশ ভার্গব পিটিআইকে জানিয়েছেন, “জ্যোতিকে জেরা করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। যেহেতু জাতীয় নিরাপত্তা যুক্ত রয়েছে, তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।”