সম্পর্কে সবসময়ই আমরা বিপরীত পক্ষের ভুল খুঁজতে ব্যস্ত থাকি। কিন্তু যদি আসল সমস্যার মূল আপনি নিজেই হন? নিজের আচরণ বিশ্লেষণ না করে কেবল সঙ্গীর দোষ ধরলে হয়তো আপনি নিজেই হয়ে উঠছেন ‘রেড ফ্ল্যাগ’। এমনই মতামত দিয়েছেন সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও কোচ জন ড্যাবাচ।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে (৩০ মে) এক পোস্টে জন ড্যাবাচ তুলে ধরেছেন এমন ৮টি লক্ষণ, যা দেখে বোঝা যায় আপনি নিজেই সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠেছেন। তার মতে, আত্মবিশ্লেষণের মাধ্যমে এসব আচরণ চিহ্নিত করে পরিবর্তন আনাই সুস্থ সম্পর্কের প্রথম ধাপ।
আপনি যদি হন সম্পর্কের সমস্যা, চিনে নিন এই ৮টি লক্ষণ:
১. সবসময় তর্কে জিততেই হবে:
আপনি কি সব ঝগড়ার শেষে নিজেকে সঠিক প্রমাণ করতেই ব্যস্ত থাকেন? তবে সেটা সমস্যা হতে পারে।
২. সঙ্গীর অনুভূতিকে অতিরঞ্জিত বলে উড়িয়ে দেন:
আপনার সঙ্গী দুঃখ পেলে আপনি কি বলেন, “তুমি বেশি ভাবছ”? তাহলে সেটা হতে পারে অবমূল্যায়ন।
আরও পড়ুন :: এই ৪টি প্রশ্নেই ধরা পড়বে আপনার সম্পর্ক টিকবে কি না!
৩. দু:খ প্রকাশের পরেও ‘কিন্তু’ জুড়ে দেন:
ক্ষমা চাইলেও যদি বলেন, “সরি, কিন্তু…”, তা নিছক অজুহাত।
৪. নীরবতা বা দূরত্ব তৈরি করেন:
ঝগড়ার সময় সরাসরি আলোচনা না করে মুখ ফিরিয়ে নেন বা কথা বলা বন্ধ করে দেন?
৫. অবিরাম সমালোচনা করেন:
গঠনমূলক মত না দিয়ে শুধু নেতিবাচক মন্তব্য করে থাকেন?
৬. চান সঙ্গী যেন আপনার মন পড়ে ফেলে:
আপনি প্রকাশ না করেও আশা করেন সঙ্গী যেন ঠিক বুঝে যান আপনার চাহিদা?
৭. পুরনো ভুল ঘাঁটেন:
পূর্বের ভুল আবারও মনে করিয়ে দিয়ে বর্তমান তর্কে নিজের পক্ষে ব্যবহার করেন?
আরও পড়ুন :: সুখী দাম্পত্যের জন্য সবসময় সত্য বলা কি অপরিহার্য?
৮. সব দোষ চাপান সঙ্গীর উপর:
নিজের ভুল বা দায় এড়িয়ে সব সময় সঙ্গীকেই দোষারোপ করেন?
জন ড্যাবাচ বলেন, এই ধরণের আচরণ ধরা পড়লে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আত্মরক্ষামূলক মনোভাব স্বাভাবিক, কিন্তু নিজের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ‘রেড ফ্ল্যাগ’ শনাক্ত করাটা পরিবর্তনের শুরু।
তিনি বলেন, “আত্মজ্ঞান মানে লজ্জা নয়, বরং এটা আসল পরিবর্তনের প্রথম ধাপ। সম্পর্ক নিখুঁত মানুষ চায় না, চায় সৎ ও পরিবর্তনে আগ্রহী মানুষ।”
নিজেকে প্রশ্ন করুন: আপনি কি এই ৮টি লক্ষণের একটির সাথেও মিলে যান? যদি হ্যাঁ, তবে এটিই হতে পারে নিজের সম্পর্ককে নতুনভাবে গড়ে তোলার সুযোগ।