একাধিক বিবাহ ও তালাক নিয়ে কাঞ্চন মল্লিক কম সমালোচনার মুখে পড়েননি। শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে বিয়ের আগেও নেটিজেনরা তাঁর অতীত দাম্পত্য জীবন নিয়ে অনেক কথা বলত। তবে এসব বিতর্ক ও সমালোচনাকে পেছনে ফেলে নতুন সংসারে সুখে রয়েছেন অভিনেতা ও বিধায়ক।
১ জুন, রবিবার তিনি নিজ বাড়িতে গুছিয়ে জামাইষষ্ঠী উদযাপন করেন। সেই সময় পঞ্চব্যাঞ্জনে সাজানো থালার সামনে বসে জামাই কাঞ্চন অকপটভাবে বললেন, “তিন বার বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েও বলছি, এরকম নিয়মকানুন মেনে প্রথমবার জামাইষষ্ঠী পালন করছি। এর আগে কখনও যা হয়নি।”
এই বছর শ্রীময়ী চট্টরাজের শুটিংয়ের কারণে জামাইষষ্ঠীর আয়োজন হয় কাঞ্চনের বাড়িতেই। নানা ধরনের মাছ দিয়ে সাজানো মেনুতে দুই জামাইকে পাত পেড়ে খাওয়ানো হয় শ্রীময়ীর মায়ের তরফ থেকে। শ্রীময়ী আগেই সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-কে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, এ বছর জামাইষষ্ঠী তাঁদের বাড়িতেই হবে। তাঁর দিদি ও জামাইবাবুও উপস্থিত ছিলেন। রবিবার পুরো পরিবার একত্রে সময় কাটাল।
লুচি ও ছোলার ডালের সঙ্গে প্রাতঃরাশ সেরে কাঞ্চনের মধ্যাহ্নভোজ শুরু হয়, যেখানে ছিল ফিসফ্রাই, পোলাও, সাদা ভাত, মাছের মাথা দিয়ে মুগ ডাল, চিংড়ির মালাইকারি, ইলিশ মাছ, মৌরলা মাছের ঝাল এবং মটন কষা। পঞ্চব্যাঞ্জনে সাজানো টেবিলে শ্রীময়ীর জামাইবাবুর সঙ্গে বসে বিধায়ক অভিনেতা নিয়ম মেনে শাশুড়ির স্নেহ গ্রহণ করেন। সুগৃহিণী শ্রীময়ী তাঁর স্বামী ও নিজ পোশাকেও পুরোপুরি বাঙালি ঐতিহ্য বজায় রেখেছিলেন।
শ্রীময়ী চট্টরাজের আগে কাঞ্চন প্রথম বিয়ে করেছিলেন অনিন্দিতা দাসের সঙ্গে। সাত বছরের দাম্পত্য জীবনের পর তারা বিচ্ছেদ করেন এবং পরবর্তীতে পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন। সেই সম্পর্কটিও সুখকর হয়নি। ২৪ বছরের জানুয়ারি মাসে পিঙ্কির সঙ্গে ডিভোর্সের পর ১৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীময়ীর সঙ্গে আইনি বিবাহ সম্পন্ন করেন তিনি। বর্তমানে তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। মা-বাবার মতোই জন্মের পর থেকেই কৃষভিও লাইমলাইটে আছে। ষষ্ঠীর দিনে লাল-সাদা সাজে তাকে মা-বাবার সঙ্গে উপস্থিত দেখা যায়।