‘পুলিশকে হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগে ভাইরাল অডিও-ঘটনার জেরে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে শান্তিনিকেতন থানায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সেখান থেকে বেরোনোর সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী বিপত্তারণ ভট্টাচার্য এবং তৃণমূলের এক কর্মী। সূত্রের দাবি, ‘অনুব্রতের ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ’। থানায় হাজিরা বা জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। থানা ছাড়ার পর অনুব্রত সোজা রওনা দেন বোলপুরের তৃণমূল পার্টি অফিসে, যেখানে প্রতিদিনের মতো জনসংযোগের কাজ সারবেন তিনি।
ভাইরাল অডিও ঘিরে বোলপুর থানার তরফে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রতের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে। সেই মামলার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি হাজিরা দেন শান্তিনিকেতন থানায়। ওই থানাতেই এসডিপিও-র অফিসও রয়েছে। কালো রঙের একটি SUV গাড়িতে করে তিনি থানায় পৌঁছন, যেখানে তাঁর সঙ্গে কোনও দেহরক্ষী ছিলেন না। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে— নিজের গাড়ি ও নিরাপত্তা ছাড়াও কেন তিনি অন্য গাড়িতে করে এলেন? এই নিয়ে মুখ খোলেননি অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠ কেউ, এমনকি পুলিশও নয়।
প্রসঙ্গত, ‘বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোনে অকথ্য ভাষায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অনুব্রতের বিরুদ্ধে’। এই মামলায় লিটনের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত চালানো হচ্ছে। তাঁর ফোনও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অনুমতি ছাড়া কল রেকর্ডিং বেআইনি— এই যুক্তিতে লিটনের বিরুদ্ধেও আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এবার অনুব্রতের মোবাইল ফোনও পুলিশ অধিগ্রহণ করল। তদন্তকারী অফিসারদের আশা, ফোন ঘেঁটে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মিলতে পারে।
তবে পুরো ঘটনার পরেও কোনও পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া আসেনি। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় অনুব্রতের আচরণে কোনও রকম উদ্বেগ বা চাপের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বরং তাঁকে যথেষ্ট ‘কুল’ দেখাচ্ছিল। আইনজীবী এবং পার্টির এক সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে তিনি থানার বাইরে এসে কালো SUV-তে ওঠেন এবং সরাসরি চলে যান বোলপুরের তৃণমূল দফতরে।