রথের আগেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ বাংলার ঘরে ঘরে, বাক্সে কী থাকবে?
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
আসন্ন রথযাত্রার আগেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ পৌঁছে যাবে রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে। একটি ছোট বাক্সে থাকবে নবনির্মিত মন্দিরের ছবি, আর তার সঙ্গেই থাকছে ‘জগন্নাথদেবের প্রসাদ’ হিসেবে গজা ও পেড়া। আগামী ১৭ জুন থেকে রাজ্যজুড়ে এই প্রসাদ বিতরণ শুরু হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘার নতুন জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের সময় জানিয়েছিলেন, “মন্দিরের প্রসাদ বাংলার প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে।” সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নবান্নে একাধিক দপ্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। সূত্র অনুযায়ী, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে ২৭ জুন-এর মধ্যে অর্থাৎ রথযাত্রার আগে প্রসাদ বিতরণের কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। যদি কোনও কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হয়, তাহলে ৪ জুলাই উল্টোরথের আগেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে রাজ্যের সব এসডিও ও বিডিও-দের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন জানাচ্ছে, কলকাতা থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক ছবি ও বাক্স পাঠানো হবে প্রতিটি জেলায়। ১২ জুন থেকে জেলাগুলোতে তা পৌঁছনো শুরু করবে। বাক্সে থাকবে ‘গজা ও পেড়া’। এই প্রসাদের মান বজায় রাখতে এসডিও ও বিডিও-দের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নিজ নিজ ব্লক ও পুর এলাকায় ভালো মানের মিষ্টির দোকানের তালিকা তৈরির।
‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের মাধ্যমে এই প্রসাদ সাধারণ মানুষের ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে। যাঁরা রেশন প্রকল্পের আওতায় নেই, তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিতে আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিডিও-দের। তবে বিধাননগর পুরসভা ও এনকেডিএ অঞ্চলের জন্য পুরো বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করবে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর।
নবান্ন থেকে পেড়া ও গজার আকার এবং ওজনও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। হলুদ রঙের ‘পেড়া’, যা তৈরি হবে ‘দুধ খোয়া ক্ষীর, চিনি, এলাচ’-সহ অন্যান্য উপকরণ দিয়ে, সেটি হবে ৪.৮ সেন্টিমিটার পুরু এবং ওজন ২০ গ্রাম। অপরদিকে ‘গজা’ হবে খয়েরি রঙের, ওজনে ৬০ গ্রাম, দৈর্ঘ্যে ৩.২ সেন্টিমিটার ও প্রস্থে ৩.১ সেন্টিমিটার। তৈরি হবে ‘ময়দা, ঘি, খোয়া ক্ষীর, চিনি, চিনির সেরাম ও জায়ফল’ দিয়ে। প্রতিটি গজা ও পেড়ার দাম ধার্য হয়েছে ১০ টাকা করে, অর্থাৎ মোট ২০ টাকা। এ ছাড়া প্যাকেট তৈরির ও বিতরণের জন্য আলাদা খরচ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
মিষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় অগ্রিম অর্থ কীভাবে দেওয়া হবে, তা দেখার দায়িত্বে থাকবেন বিডিও ও এসডিও। নির্ধারিত উপকরণ দিয়ে বাক্স প্রস্তুত করবে ‘স্বনির্ভর গোষ্ঠী’, ‘NRLM’ বা ‘NULM’। প্রয়োজনীয় ‘কার্টন বাক্স, সেলোটেপ’ ইত্যাদি আগে থেকেই মজুত রাখার ব্যবস্থাও করতে হবে।