আগামী বছর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত প্রতি মাসেই বাংলায় সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি— এমনটাই জোর জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে। গত মে মাসের শেষে আলিপুরদুয়ারে সভা করার পর, আগামী ২০ জুন নন্দীগ্রামে তাঁর একটি বড় জনসভা হতে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে বিজেপি শিবিরে। ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ২০ জুনকে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
বঙ্গভাগের স্মৃতিকে সামনে রেখে এই দিনটি গত কয়েক বছরে বিজেপির কাছে একটি বিশেষ রাজনৈতিক বার্তাবাহী তারিখে পরিণত হয়েছে। নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক তাৎপর্য অনেক। তাই সেখানে দাঁড়িয়ে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করে এক প্রবল রাজনৈতিক ইঙ্গিত দিতে চাইছেন মোদি— এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। তবে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু থেকেই বিরোধী। তিনি এই দিনটিকে ‘বাঙালির জীবনের কালো দিন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, কারণ এটি বঙ্গবিভাজনের স্মৃতিচিহ্ন বহন করে।
তবে মোদির এই সফর নিয়ে তৃণমূলের তেমন গুরুত্ব নেই। তাদের মতে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ‘পরিযায়ী’ এবং তাদের এই ‘ডেলি প্যাসেঞ্জারি’ রাজ্যে কোনও কাজে আসবে না। দলটির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “মোদি বাংলায় যেখানে খুশি আসতে পারেন। নানা রঙের লোকজন আগেও এসেছেন। এসে কী হয়েছে। বাংলার মানুষ বিজেপির আসল চেহারা কী তা জেনে গিয়েছে। যতবার ওঁরা বাংলায় আসবেন ততবারই মানুষ দেখতে পাবে যে, খালি হাতে এসেছেন, বকেয়া টাকা দিচ্ছেন না। এসব করে কোনও লাভ হবে না। বিজেপি আগেও হেরেছে, এবারেও হারবে।”
২০ জুনের দিনটিকে ঘিরে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত নিয়েও কটাক্ষ করেছেন কুণাল। তাঁর মন্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গ দিবস কিনা জানি না। ওদিন আমার জন্মদিন।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ দিবস ঠিক হয়ে গিয়েছে। বিশিষ্ট জনদের মতামত নিয়েই পয়লা বৈশাখ পশ্চিমবঙ্গ দিবস ঠিক হয়েছে। বাংলার শিল্পী, গবেষকরা এবারে পয়ালা বৈশাখ তা পালনও করেছেন। এখন ওরা জোর করে ২০ জুনকে চাপিয়ে দিতে চাইছে। বাংলার মানুষ তা কেন মানবে?”