দেশজুড়ে আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা সংক্রমণ। বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় ৭ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে, যা উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে। কেরল, কর্নাটক, গুজরাট ও দিল্লিতে সংক্রমণের গতি সবচেয়ে বেশি, তবে কেরল, গুজরাট এবং কর্নাটকের পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে গুরুতর।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬,৮১৫। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। রাজ্যভিত্তিক তথ্য বলছে, কর্নাটকে সর্বাধিক ১৩৬ জন নতুন আক্রান্ত, গুজরাটে ১২৯ জন এবং কেরলে ৯৬ জন। অন্যদিকে অরুণাচল প্রদেশ, চণ্ডীগড়, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মিজোরাম ও ত্রিপুরা থেকে নতুন সংক্রমণের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাসটি আবার ছড়ালেও তার মারণ ক্ষমতা অনেকটাই কমেছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব ভাল বলেন, “দক্ষিণ এবং পশ্চিম ভারত থেকে পাওয়া নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে জানা গিয়েছে, এটি ওমিক্রনেরই একটি ভ্যারিয়েন্ট।”
বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন, পুরনো স্বাস্থ্যবিধি আবার চালু হতে পারে। ভিড়ভাট্টা এলাকায় মাস্ক পরা ও বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তদের আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সম্ভাব্য করোনার ঢেউ রুখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় আতঙ্ক না ছড়িয়ে সকলকে সচেতন ও সতর্ক থাকার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।