এক বছরও হয়নি। ১৫ আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের দিন ঝাড়গ্রাম শহরে ঢুকে পড়া একটি অন্তঃসত্ত্বা হাতির শরীরে ভিড়ের মধ্য থেকে ছোড়া হয়েছিল জ্বলন্ত লোহার বর্শা। চিকিৎসার সব চেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যু হয়েছিল হাতিটির। সেই মর্মান্তিক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও শাবক-সহ হাতির উপর আগুনের আক্রমণের অভিযোগ উঠল।
বুধবার রাতে ঝাড়গ্রাম জেলার খড়্গপুর বন বিভাগের কলাইকুন্ডা রেঞ্জের হাঁড়িভাঙ্গা গ্রামের কাছে ৪০-৪৫টি হাতির একটি দল জঙ্গলে ফেরার পথে রাস্তা পার হচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময় কিছু স্থানীয় মানুষ হাতিগুলির দিকে ছুড়ে দেন জলন্ত লোহার গোলক। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শাবক-সহ হাতির দল আতঙ্কে ছুটে পালাচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিও হাতে এসেছে বনদফতরের। শুরু হয়েছে তদন্ত। খড়্গপুর বন বিভাগের ডিএফও মণীষ যাদব বলেন, “ঘটনার ভিডিও পেয়েছি। হাঁড়িভাঙ্গাতেই ঘটেছে বলে নিশ্চিত। কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায়ই হাতির তাণ্ডবে ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু মানুষ এমন আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। অথচ বনদফতর বারবার সতর্ক করছে— হাতিকে উত্যক্ত বা আঘাত করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। পরিবেশপ্রেমী গোষ্ঠীগুলিও প্রতিদিন সোচ্চার হচ্ছে, তবুও থামছে না নির্যাতন।
উল্লেখযোগ্য, গত বছরের ঘটনার পর রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল। জনস্বার্থ মামলা চলছে কলকাতা হাই কোর্টে। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। ফের আগুনে আক্রমণের এই ঘটনা শুধু হাতির উপর নিষ্ঠুরতা নয়, বন্যপ্রাণ-মানব সংঘাতের অন্ধকার বাস্তবকে আরও একবার সামনে এনে দিল।