
তিন, চারটে নয়, তাঁর বরের তালিকা দীর্ঘ। আপাতত ১২ জনের খোঁজ পাওয়া গেলেও, পুলিশের মতে, আরও একাধিকবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তরুণী। বরের নামের দীর্ঘ তালিকা দেখে চোখ ছানাবড়া পুলিশের। কিন্তু কেন বারবার বিয়ে? তরুণীর দাবিতে আরও অবাক হয়ে গেছে পুলিশ। তিনি জানিয়েছেন, খাঁটি ভালাবাসা খুঁজতেই বারবার বিয়ে করেছেন তিনি!
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে কেরলে তিরুবনন্তপুরমে তরুণীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণী বিবাহিত এবং এক সন্তানের মা। ৩০ বছর বয়সি তরুণী ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এর আগে আরও একাধিকবার বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর সোনার গয়না, মঙ্গলসূত্র, নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। গত সপ্তাহেও একজনকে বিয়ের পরিকল্পনা ছিল। এবারেও সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল। কিন্তু বিয়ের ঠিক আগেরদিন পাত্রের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি।
পাত্র জানান, ম্যাট্রিমনি সাইটে এই তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। একটি মলে দেখা করেছিলেন তাঁরা। সেদিন তরুণী বলেছিলেন, তিনি অনাথ। আত্মীয় বলতে কেউই নেই। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে কেউ উপস্থিত থাকতে পারবেন না। বিয়ের আগেরদিন এক বন্ধুর সন্দেহ হয়েছিল তাঁকে দেখে। তখনই পাত্রকে তিনি জানান। তারপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
পার্লারে সাজগোজের সময় তরুণীর ব্যাগে তল্লাশি চালান দু’জন। সেখানেই আগের সাতটি বিয়ের নথি পাওয়া যায়। পুলিশ সেগুলো দেখে আগের পাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। পুলিশ জানিয়েছে, অনেকেই মানসম্মানের কথা ভেবে বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করছেন না।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, স্কুলে পড়াকালীন পালিয়ে গিয়ে প্রথম বিয়ে করেছিলেন তরুণী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে চারবছর একসঙ্গে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকেই বহুবিবাহ শুরু করেন। প্রতি মাসেই কমপক্ষে দু’বার বিয়ের ছক কষেন। দশ দিন অন্তর বিয়ের রেকর্ডও রয়েছে। পুলিশি জেরায় তরুণী জানিয়েছেন, খাঁটি ভালাবাসা খুঁজছিলেন তিনি। কারও সঙ্গেই বনিবনা হয়নি। তাই ছেড়ে যেতেন।