ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩৩০০ কোটি। আছে একাধিক ভিলা, প্রাইভেট জেট, বিলাসবহুল গাড়ি, নিজস্ব ইয়াট। তাতেই আরাম করে দিন কাটে গুনথারের। ভাবছেন কোনও আরব রাজপুত্রের কথা বলা হচ্ছে? আজ্ঞে না, গুনথার আসলে একটি জার্মান শেফার্ড। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। গুনথার নামের এই সারমেয়ই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী কুকুর!
সবকিছু সূচনা এক অদ্ভুত উইল থেকে। প্রচলিত কাহিনি অনুযায়ী ১৯৯২ সালে জার্মান কাউন্টেস কার্লোট্টা লাইবেনস্টেইন তাঁর প্রিয় পোষ্য কুকুর ‘গুনথার থার্ড’-এর নামে উইল করে ৮০ মিলিয়ন ডলার দান করেন। কুকুরটির মৃত্যুর পরে সেই সম্পত্তি চলে যায় উত্তরসূরি গুনথারদের কাছে। সেই একই সারমেয় বংশের বর্তমান প্রতিনিধি ষষ্ঠ গুনথার।
এখন গুনথার-এর বিশাল সম্পত্তি পরিচালনা করে একটি ট্রাস্ট। একটি ফাউন্ডেশনই দেখাশুনা করে কুকুরটির। গুনথারের সেবা করার জন্য সর্বক্ষণ তৎপর থাকেন সাদা গ্লাভস পরা ২৭ জন পরিচারক। ফ্লোরিডা, ইতালি, জার্মানি—বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে গুনথারের প্রাসাদোপম বাড়ি। এমনকি আমেরিকার পপ গায়িকা ম্যাডোনার প্রাক্তন বাংলোও ট্রাস্টটি কিনে ফেলেছে, তাও এই কুকুরটির নামেই। দাম পড়েছে প্রায় ৩১ মিলিয়ন ডলার।
তবে এই কাহিনির সত্যতা কতটা? সম্প্রতি নেটফ্লিক্স-এ মুক্তি পেয়েছে গুনথারস মিলিয়নস নামের একটি ডকুমেন্টারি। সেই তথ্যচিত্রে এই রাজকীয় কুকুর ও তার সম্পদের সম্পর্কে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দাবি করা হয়েছে, উইলের গল্প পুরোটাই সাজানো। কুকুরের মালিক মরিজিয় মিয়ান নামের এক ব্যক্তি কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য নিজের সম্পত্তি কুকুরের নামে করে দিয়েছেন। ‘ট্রাস্ট পরিচালনার খেলা’র মাধ্যমেই নাকি চলছে বিপুল কারচুপি। তবে বিতর্ক থাকলেও, গুনথার-এর বিলাসী জীবন কিন্তু একেবারে বাস্তব। সে কিন্তু আরামেই আছে।
সূত্র : আজকাল