আন্তর্জাতিক

‘নো কিংস’ স্লোগানে উত্তাল আমেরিকা, ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ ৫০ রাজ্যে

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

Donald Trump : ‘নো কিংস’ স্লোগানে উত্তাল আমেরিকা, ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ ৫০ রাজ্যে - West Bengal News 24

‘অভিবাসন’ ইস্যু ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘লস অ্যাঞ্জেলস’। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশে। এবার তাঁর জন্মদিনেই আমেরিকার রাজপথে শোনা গেল ‘নো কিংস’, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’, ‘সংবিধান বাঁচান’ স্লোগান। পরিস্থিতি ক্রমেই চাপের মুখে ফেলছে হোয়াইট হাউসকে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকার প্রায় ৫০টি প্রদেশ জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে ‘নো কিংস’ স্লোগান তুলে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। শহরের রাস্তা, পার্ক এবং ওপেন প্লাজাগুলিতে পোস্টার হাতে সাধারণ নাগরিকেরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে। এমনকি ছোট ছোট শহরেও প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। বেআইনি অভিবাসীদের ধরপাকড়ের প্রতিবাদে ‘লস অ্যাঞ্জেলস’ সহ একাধিক শহর জুড়ে গত সপ্তাহজুড়ে ক্ষোভ জমে উঠেছে।

‘মার্কিন সেনাবাহিনীর’ মেজর জেনারেল ‘স্কট শেরম্যান’ জানিয়েছেন, “লস অ্যাঞ্জেলসের পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে ৪ হাজারেরও বেশি ন্যাশনাল গার্ড সদস্য ও ৭০০ মেরিনস।” তুলনা করতে গেলে দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে ‘ইরাক’ এবং ‘সিরিয়ায়’ যত সেনা রয়েছে, এই সংখ্যাটি তার থেকেও বেশি। ‘পেন্টাগনের’ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ায় বর্তমানে রয়েছে প্রায় ২ হাজার এবং ইরাকে ২ হাজার ৫০০ সেনা। বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ৫ হাজারের বেশি করা হতে পারে। এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তারের সংখ্যা খুব বেশি না হলেও বিক্ষোভ ছড়ানোর অভিযোগে ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হচ্ছে, যা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রশাসন।

শুক্রবার থেকেই ‘লস অ্যাঞ্জেলস’-এ উত্তেজনা তুঙ্গে। রবিবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী পথে নেমে প্রতিবাদে অংশ নেন। এই প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসকাম এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস তাঁদের কাজ করতে না পারেন, যা সবাই জানে যে তাঁরা পারবেন না, তাহলে ফেডারেল সরকার হস্তক্ষেপ করবে এবং সমস্যাটির সমাধান করবে। দাঙ্গাকারী এবং লুটেরাদের ক্ষেত্রে যেভাবে সমাধান করা উচিত।”

প্রসঙ্গত, দেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ রুখতে বরাবরই দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মার্কিন নাগরিকদের স্বার্থরক্ষার অজুহাতে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে কঠোর আইন চালু করেছে তাঁর সরকার। ১১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে ‘দ্য এলিয়েন রেজিস্ট্রেশন রিকোয়ারমেন্ট’। প্রশাসনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, অভিবাসীদের বিরুদ্ধে এইবার আরও সক্রিয়ভাবে নামছে নিরাপত্তা বাহিনী।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য