ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা শক্তি প্রয়োগ করল ইরান! আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান কার্যালয়ে মিসাইল হানা চালিয়েছে তেহরান। একই সঙ্গে, ইরানের মাটিতে মোসাদের হয়ে কাজ করা গুপ্তচরদের খুঁজে বের করতে শুরু হয়েছে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান। ইতিমধ্যে ইরানের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮ জন ইজরায়েলি গুপ্তচরকে।
সম্প্রতি শুক্রবার ইজরায়েল থেকে ইরানের সামরিক ঘাঁটি ও পরমাণু কেন্দ্রগুলির উপর বিমান হানা চালানো হয়। এই হামলায় একাধিক শীর্ষ ইরানি সেনাকর্তা নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইরানি সেনাপ্রধান মহম্মদ বাঘেরি, রেভলিউশনারি গার্ডস কমান্ডার হোসেন সালামি এবং এমার্জেন্সি কমান্ডের উচ্চপদস্থ কর্তারা। একই সঙ্গে ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকেও টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে। এর পাল্টা জবাব হিসেবে ইরানের শীর্ষ নেতা খামেনেই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা করেন। এরপর ১৫০টি ব্যালেস্টিক মিসাইল ও শতাধিক ড্রোন দিয়ে তেল আভিভে হামলা চালায় ইরান। এই আক্রমণে শহরের বহু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, দাবি করা হচ্ছে মোসাদের সদর দপ্তরও ধ্বংস হয়ে গেছে।
তেহরানের তরফে প্রকাশিত বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইজরায়েলের ওই গোয়েন্দা দপ্তরে আগুন লেগেছে এবং সেই ভবন আগুনে পুড়ছে। যদিও ইজরায়েলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তরফে একাধিক ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। তবে ইজরায়েল জানায়, ইরানের মিসাইল ইজরায়েলি সেনা ঘাঁটির নিকটবর্তী একটি পার্কিংয়ে আঘাত হানে এবং মূল স্থাপনাগুলি অক্ষত রয়েছে।
অন্যদিকে, ১৩ জুন ইরানে চালানো হামলা সম্পর্কে ইজরায়েল দাবি করে, মোসাদের নিখুঁত পরিকল্পনার ফলেই তারা সফলভাবে এই আঘাত হানতে পেরেছে। এরপরই উঠে আসে তথ্য যে, ইরানের সামরিক বাহিনীর মধ্যেও মোসাদের চর ঢুকে পড়েছিল। এই গুপ্তচরদের সনাক্ত করতে দেশজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে ইরান। এপর্যন্ত সন্দেহভাজন ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এঁরা সকলেই মোসাদের হয়ে কাজ করতেন। ইতিমধ্যেই এক জন সন্দেহভাজনকে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। এই গোটা অভিযান চালানোর জন্য গঠিত হয়েছে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল।