রামোজি ফিল্ম সিটিতে অশরীরীর ছায়া? কাজলের দাবি ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হায়দরাবাদবাসীর
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
হায়দরাবাদে যারা জন্মেছেন, পড়াশোনা করেছেন কিংবা কাজের জন্য থেকেছেন, তাঁদের অনেকেই রামোজি ফিল্ম সিটির (Ramoji Film City) ‘ভূতুড়ে’ খ্যাতির কথা শুনে থাকবেন। আর এই জনপ্রিয় বিশ্বাসে নিজের অভিজ্ঞতার সিলমোহর দিলেন অভিনেত্রী কাজল। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের আসন্ন হরর ছবি ‘মা’-এর প্রচারে এসে, অশরীরী উপস্থিতি টের পাওয়ার দাবি করেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, জীবনে কখনও কোনো ভয়ঙ্কর বা অদ্ভুত ঘটনা অনুভব করেছেন কি না। উত্তরে কাজল বলেন, “আমি বহুবার এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি। সেটাকে নেগেটিভ ভাইবস বলুন বা যাই বলুন এমন অনেক জায়গাই আছে যেখানে গেলে আপনি এমন একটা কিছু টের পাবেন যা বেশ অস্বাভাবিক লাগবে আপনার। আমি এরকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি অনেকবার। এরকম অনেক জায়গাতে শুটিং করেছি যেখানে শুটিং করার পর আমি রাতে ঘুমাতে পারিনি। মনে হয়েছে আমি যদি সেই জায়গাটা তক্ষুণি ছেড়ে বেরোতে পারতাম তবেই ঠিক হত।”
এরপর নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনায় কাজল উদাহরণ হিসেবে তুলে আনেন রামোজি ফিল্ম সিটির প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, “এরকম জায়গার একটা বড় উদাহরণ হল রামোজি ফিল্ম সিটি। যেটা বিশ্বের সবথেকে বড় ভূতুড়ে জায়গাগুলির মধ্যে একটি। তবে আমি ভীষণ ভাগ্যবতী যে আমি কখনও তেনাদের নিজের চোখে দেখিনি।”
এই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় বিতর্ক। ওই সাক্ষাৎকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়। সঙ্গে সঙ্গে কিছু নেটিজেন কাজলকে একহাত নিয়ে লেখেন, ‘মানে কিছু একটা বলে দিলেই হল? বলার আগে ভাবুন কী বলছেন?’ আরেকজন লেখেন, “সম্মানীয় কাজল যদি সত্যিই রামোজি ফিল্ম সিটি ভূতুড়ে জায়গা হত তাহলে প্রতি বছর এত মানুষ এখানে বেড়াতে আসতেন না। এটি হায়দরাবাদের ঐতিহ্যবাহী জায়গাগুলোর মধ্যে একটা এটা মাথায় রাখবেন।”
তবে সবাই যে কটাক্ষ করেছেন, তা নয়। অনেকেই কাজলের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। এক নেটিজেন লেখেন, ‘কেন কাজলকে এভাবে ট্রোল করা হচ্ছে বুঝছি না। এটি ঐতিহ্যবাহী একটা ফিল্মসিটি অবশ্যই কিন্তু কাজলের কথাও ফেলে দেওয়ার নয়। অনেকেই এরকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন সেখানে।’