আন্তর্জাতিক

ইরানের হামলার আশঙ্কায় কাতার ঘাঁটি থেকে ৪০টি মার্কিন যুদ্ধবিমান সরিয়ে নিল আমেরিকা

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

Israel Iran Conflict Updates : ইরানের হামলার আশঙ্কায় কাতার ঘাঁটি থেকে ৪০টি মার্কিন যুদ্ধবিমান সরিয়ে নিল আমেরিকা - West Bengal News 24

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইজরায়েলের টানাপোড়েনের জেরে কাতারে অবস্থিত মার্কিন বায়ুসেনা ঘাঁটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আমেরিকা। সম্ভাব্য ইরানি হামলার আশঙ্কায় কাতারের আল উদেইদ এয়ারবেস থেকে যুদ্ধবিমান গুটিয়ে নিতে শুরু করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, গত দুই সপ্তাহে অন্তত ৪০টি যুদ্ধবিমান ওই ঘাঁটি থেকে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। স্যাটেলাইট ছবিতে ধরা পড়েছে, ৫ জুন থেকে ১৯ জুনের মধ্যে এই স্থানান্তর হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএফপি-এর তথ্য অনুযায়ী, ৫ জুন ঘাঁটিতে ‘C-130 হারকিউলিস’ সহ ৪০টির বেশি যুদ্ধবিমান উপস্থিত ছিল। কিন্তু ১৯ জুনের স্যাটেলাইট চিত্রে সেখানে মাত্র ৩টি বিমান দেখা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৭টি ‘কেসি ৪৬এ পেগাসাস’ এবং ‘কেসি-১৩৫ স্ট্রেটোট্যাঙ্কারস’ বিমানেরও স্থানান্তর হয়েছে। এগুলির মধ্যে অনেকগুলি ১৫ থেকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ইউরোপে পাঠানো হয়। মোট ২৫টি বিমান আর কাতারে ফেরেনি, শুধু দুটি বিমান পরে ইউরোপ থেকে ফিরে আসে। এছাড়াও অন্যান্য যুদ্ধবিমানও এই তালিকায় রয়েছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই বলেছিলেন, “ইরান যদি আমেরিকার উপর হামলা চালায় তাহলে ইরানকে এমন জবাব দেওয়া হবে যা তারা স্বপ্নেও ভাবতে পারবে না।” তবে হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইরান সরাসরি সংঘাতে যেতে চাইছে না। এরই মাঝে কাতারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয় এবং সেনা ঘাঁটির কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জ্বালানি সরবরাহের জন্য এই বিশেষ বিমানগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাই সেগুলি যদি আক্রমণের শিকার হয়, তাহলে মার্কিন সামরিক অভিযানে বড় বাধা পড়তে পারে। এজন্যই আমেরিকা পূর্বপ্রস্তুতির অংশ হিসেবে এগুলিকে সরিয়ে নিচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে মার্কিন সেনার প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মার্ক শোয়ার্জ মন্তব্য করেন, ‘ওই বায়ুসেনা ঘাঁটি ইরানের একেবারে কাছে থাকার জন্য সবার প্রথম হামলা হতে পারে ওখানে। সেক্ষেত্রে যুদ্ধক্ষেত্রে কোনওরকম ঝুঁকি এড়াতে এই পদক্ষেপ হতে পারে।’

বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে প্রায় ৪০ হাজার মার্কিন সেনা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। তবে এই সংঘর্ষে আমেরিকা সরাসরি অংশ নেবে কিনা, তা এখনও নির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট বলেন, ”অদূর ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বা নাও পারে। দুই দিকেই যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকায়, আগামী দুই সপ্তাহের ভিতরে আমি সিদ্ধান্ত নেব যে আমি এটা করব কিনা।”

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য