১২ জুন আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কালো আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামলেন ভারত ও ইংল্যান্ড দলের ক্রিকেটাররা। এমনকি ম্যাচ পরিচালনাকারী আম্পায়াররাও পরে ছিলেন কালো ব্যান্ড। হেডিংলিতে এমনই এক আবেগঘন পরিবেশে শুরু হয় প্রথম টেস্ট। টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস।
প্রথম ইনিংসে ভারতের দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও কেএল রাহুল দেখেশুনে ইনিংস শুরু করেন। ইংল্যান্ডের কোনও বোলারই শুরুতে তাঁদের বিপাকে ফেলতে পারেননি। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আত্মবিশ্বাসে ভর করে খেলতে শুরু করেন দুই ব্যাটার। একের পর এক ক্লাসিক কভার ড্রাইভ ও স্ট্রেট ড্রাইভে দর্শকদের মুগ্ধ করেন তাঁরা।
বিশেষ করে যশস্বী, যিনি প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে খুব একটা ছাপ রাখতে পারেননি—সেই তিনি এদিন নিজের সেরাটা তুলে ধরেন। প্রস্তুতি পর্বে চার ইনিংসের মধ্যে মাত্র একটিতে পঞ্চাশ করেছিলেন, কিন্তু এই টেস্টে শুরু থেকেই তিনি দৃঢ়ভাবে ব্যাট করছিলেন। লাঞ্চের সময় পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ৪২ রানে।
রাহুলের ওপেনিংয়ে নামা ছিল প্রত্যাশিত। আইপিএল শেষ করেই তিনি ইংল্যান্ডে পৌঁছে গিয়েছিলেন নিজেকে প্রস্তুত করতে। শুরুটা ভালো করলেও, অফস্ট্যাম্পের বাইরের একটি বলে অযথা খোঁচা দিয়ে ৪২ রানে আউট হয়ে যান তিনি। তাঁর উইকেট তুলে নেন ব্রাইডন কার্স।
এরপর ক্রিজে আসেন অভিষেককারী সাই সুদর্শন। তবে অভিষেক ম্যাচে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। স্টোকসের লেগ সাইডের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। রানের খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
লাঞ্চে যাওয়ার সময় ভারতের স্কোর ছিল ৯২ রানে ২ উইকেট।