পন্থের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ইংরেজ বোলিং, শতরান ছুঁয়ে নজির গড়লেন উইকেটরক্ষক

দারুণ ছন্দে দেখা গেল ঋষভ পন্থকে (Rishabh Pant)। ইংল্যান্ডের বোলারদের উপর ছড়ি ঘোরালেন ভারতীয় উইকেটকিপার, তুলে নিলেন চোখধাঁধানো শতরান। শোয়েব বশিরের একটি ডেলিভারিতে এক হাতে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ১৪৬ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ২৭ বছরের এই তারকা ক্রিকেটার। তারপরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন, ভোলেননি বিখ্যাত ডিগবাজি সেলিব্রেশন। আইপিএলে আরসিবি-র বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচেও এমন উদযাপন করেছিলেন তিনি—আজ যেন সেটাই আবার দেখল গোটা ক্রিকেট দুনিয়া।

টেস্টের প্রথম দিনেই SENA দেশের মাটিতে উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে পেছনে ফেলেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় দিনেও একই রকম মনঃসংযোগ ও দৃঢ়তায় ব্যাট চালিয়ে যান পন্থ। ইংল্যান্ডে এটি ছিল তাঁর তৃতীয় শতরান। এর পাশাপাশি গড়েছেন এক ঐতিহাসিক নজিরও—এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টেস্টে তাঁর সেঞ্চুরির সংখ্যা দাঁড়াল ৭-এ। কোনও ভারতীয় উইকেটরক্ষকই এতবার শতরান করতে পারেননি। টেস্টে ধোনির সংগ্রহ ছিল ৬টি সেঞ্চুরি।

ধোনি তাঁর টেস্ট কেরিয়ারে খেলেছেন ৯০টি ম্যাচ। সেখানে পন্থ আজ মাঠে নামেন নিজের ৪৪তম টেস্টে। ফলে, অনেকে মনে করছেন, তাঁর হাতে রয়েছে আরও অনেক রেকর্ড গড়ার সুযোগ। শতরানের পরে ব্যাটিং স্টাইলেই রূপান্তর আনেন পন্থ। আগ্রাসী ভঙ্গিতে বলের পেছনে ছুটতে থাকেন। বিশেষত, শোয়েব বশিরের বিরুদ্ধে ছিলেন একেবারে নিষ্ঠুর মেজাজে। তবে দেড়শোর কাছাকাছি গিয়েও থামতে হল শুভমান গিলকে—মাত্র ৩ রান বাকি থাকতে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। তাঁদের জুটিতে ২০৯ রানের বিরাট পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে, যা এই ইনিংসের অন্যতম হাইলাইট।

অন্যদিকে, ৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরে বিশেষ কিছু করতে পারলেন না করুণ নায়ার। তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই বেন স্টোকসের শিকার হন। তবে সেই ক্যাচটি ছিল অনবদ্য—অলি পপ সেটি লুফে নিয়ে সকলকে চমকে দেন। এরপর ১৩৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন পন্থ। শার্দূল ঠাকুরও দ্রুত বিদায় নেন। মধ্যাহ্নভোজের সময় ভারতের স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ৪৫৪ রান।