ডায়েট ও স্ট্রেস ফ্রি টেকনিক
খাদ্যাভ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রোগ প্রতিরোধের জন্য। আজকাল মানুষ অনেক সচেতন, ফাস্টফুড আর রেড মিট এড়িয়ে চলেন। চর্বি খান না। সবজি পছন্দ না হলেও বেশি বেশি খান। শুধু বেশি খাওয়া এবং বিশেষ কিছু খাবার খাওয়ার কারণে যদি রোগশোকে ভুগতে হয় তাহলে হাতাশাজনক। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা কোনো কঠিন কাজ নয়। পরিমিত ডায়েট করলে একদিকে যেমন রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব, অন্যদিকে দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধও সম্ভব।
স্ট্রেসের নেতিবাচক প্রভাব : স্ট্রেসের সর্বনাশা প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। হাইপোথ্যালামাস ও পিটুইটারি গ্ল্যান্ড গভীরভাবে আক্রান্ত হয় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তা নার্ভাস সিস্টেম ও এনডোক্রাইন সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলে। এটা আরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে দেহের ইমিউন সিস্টেম, চর্বিজাতীয় মেটাবলিজম এবং নিউরনের ওপর। শরীরের ৭৫ ট্রিলিয়ন দেহকোষের প্রতিটি আমাদের চিন্তার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও যেসব সমস্যা হয় সেগুলো হলো : মাথা ব্যথা, বুক ধড়ফড় করা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বিশেষত করোনারি আর্টারি ব্লকেজ। তাই চাপ কমাতে পারলে আমাদের স্বাস্থের জন্য ভালো। চাপমুক্ত জীবন আমাদের কর্মদক্ষতা বাড়ায় এবং মানবিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটায়।
যেসব টেকনিক আয়ত্ব করলে চাপমুক্ত জীবন গড়া যায় তার মধ্যে মেডিটেশন অন্যতম। চাপমুক্ত জীবন লাভের জন্য সাধারণ যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন সেই সুবিধাগুলোকে গভীর চিন্তার সঙ্গে কাজে লাগানোর চেষ্টা গ্রহণ করতে হয়। একইভাবে আগামীকালের জন্যও চিন্তিত হবেন না। সর্বোপরি স্ট্রেস ফি থাকার জন্য যা করতে হবে – নিউরোবিক এক্সারসাইজ, রিলাঙ্যেশন মেডিটেশন। তাই হৃদরোগ প্রতিরোধে আমাদেরকে স্ট্রেস ফ্রি থাকতে হবে।
