বিচিত্রতা

দিনের পর দিন গোখরোর ছোবল খেয়েও বেঁচে আছেন, বিস্ময়ের ঢল

দিনের পর দিন গোখরোর ছোবল খেয়েও বেঁচে আছেন, বিস্ময়ের ঢল - West Bengal News 24

গাঁজা, কোকেন, হেরোইনের বদলে তাঁরা খান সাপের ছোবল। তা-ও যেমন-তেমন সাপ নয়, খোদ গোখরোর ছোবল দিনের পর দিন তাঁরা নিচ্ছেন। কিন্তু তার পরেও তাঁরা দিব্যি বেঁচে রয়েছেন। এমন ঘটনাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবে বিজ্ঞান?

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, রাজস্থানের দুই ব্যক্তিকে ঘিরে বিস্ময়ের ঢল নেমেছে বিজ্ঞানী মহলে। যে সাপের এক কামড়ে যা বিষ থাকে, তাতে ২০ জন মানুষ খতম হয়ে যেতে পারে অনায়াসে, সেই সাপের কামড় খেয়ে দিনের পর দিন বেঁচে রয়েছেন রাজস্থানের এই দুই ব্যক্তি।

খবর পয়ে চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এর গবেষকরা ওই দু’জনকে নিয়ে আসেন এবং তাঁদের উপরে গবেষণা শুরু করেন। এই দু’জনের কেস হিস্ট্রি ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ সাইকোলজিক্যাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত হয়েছে। চিকিৎসক অসীম মেহরা, দেবাশিস বসু এবং সন্দীপ গ্রোভার এই দুই ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে দেখতে চেয়েছেন, সাপের বিষকে নেশার বস্তু হিসেবে গ্রাহণ করার মিথটি কতটা সত্য।

রাজস্থানের গ্রামাঞ্চলে সাপের ছোবল খেয়ে নেশা করার চল রয়েছে। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিম রাজস্থানে এমন কাণ্ড হামেশাই হয়ে থাকে। কিন্তু সেখানে গোখরোর মতো বিষধরের ছোবল কতটা গৃহিত হয়, তা বিচার্য।

জানা গিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি গত ১৫ বছর ধরে নেশা করে আসছেন। চিকিৎসক সন্দীপ গ্রোভার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ভারতে নেশার বস্তু হিসেবে সাপের বিষের ব্যবহার নিয়ে মাত্র চারটি রিপোর্ট রয়েছে। এই দুই ব্যক্তিকে পরীক্ষা করলে এই বিষয়ে আরও খানিকটা আলোকপাত ঘটতে পারে। প্রসঙ্গত, এই দু’জন রীতিমতো স্বচ্ছল পরিবার থেকে আগত বলেই জানা গিয়েছে।

তথ্যসূত্র: এবেলা

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য