জেনে নিন স্ট্যাচু অব লিবার্টি ভ্রমণের কিছু দরকারি ও মজার তথ্য
আমেরিকায় গিয়েছেন আর স্ট্যাচু অব লিবার্টি বা স্বাধীনতার মূর্তি দেখবেন না তা কি হয়? কিন্তু কেবল দেখতে চাইলেই তো হবে না, এর জন্য পেরোতে হবে বেশ খানিকটা পথ, অনেকটা নিয়ম কানুন। বিশেষ করে যদি আপনি যেতে চান মূর্তির একদম উপরে তাহলে তো কথাই নেই। তাই স্ট্যাচু অব লিবার্টির চূড়া যদি হয় আপনার এবার আমেরিকা ভ্রমণের অন্যতম একটি গন্তব্যস্থল তাহলে এখনই জেনে নিন যাত্রাপথ সম্পর্কে বেশকিছু মজার আর দরকারী তথ্য।
১. নিরাপত্তার কড়াকড়ি
স্ট্যচু অব লিবার্টির চূড়ায় উঠতে হলে প্রথমে ফেরিতে করে ব্যাটারি পার্কে নামতে হবে আপনাকে। এরপর সেখান থেকে স্ট্যচু অব লিবার্টি যে দ্বীপে অবস্থিত সেখানে পৌঁছানোর সুযোগ পাবেন আপনি। তবে এই যাত্রাটা কিন্তু একেবারেই সোজা নয়। প্রচন্ড নিরাপত্তার কড়াকড়ির ভেতর দিয়ে যেতে হবে আপনাকে এ সময়। অনেকটা বিমানবন্দরে যেভাবে সবকিছু দেখে শুনে সময় নিয়ে মানুষকে পরীক্ষা করা হয় সেভাবে। এই পালা শেষ হলে তবে আপনি লিবার্টি দ্বীপে যাওয়ার ফেরিতে উঠতে পারবে।
২. লকার ব্যবস্থা
লিবার্টি আইল্যান্ডে এসে যদি আপনি চান মূর্তির উপরে উঠতে তাহলে ফের আরেক দফা চেকিংএর ভেতর দিয়ে যেতে হবে আপনাকে। সেক্ষেত্রে উপরে ওঠার সময় কেবল মোবাইল আর ক্যামেরা বাদে অন্য কোন কিছুই নিয়ে যেতে পারবেন না আপনি। বাড়তি জিনিসগুলো রেখে যেতে হবে নীচের লকারে। এরপর আরেকবার ঠিক আগের মতন পরীক্ষা করা হবে আপনাকে।
statue of liberty height :
- Height of copper statue (to torch): 151 feet 1 inch (46 meters)
- From ground level to torch: 305 feet 1 inch (93 meters)
৩. সত্যিকারের আলোকবর্তিকা
আমরা সবাই জানি যে স্ট্যাচু অব লিবার্টির হাতে একটা আলোকবর্তিকা আছে এবং সেটা তার শুরু থেকেই। কথা সত্যি। তবে এত চেকিংএর পর ভেতরে গেলে মূর্তির ওপরে পৌঁছবার আগে যে জিনিসটি আপনি দেখতে পাবেন সেটা হচ্ছে সযত্নে রেখে দেওয়া আরেকটি আলোকবর্তিকা। মূলত, এটিই ছিল মূর্তির হাতের প্রথম ও আসল আলোকবর্তিকা যেটা কিনা ১৯৮৪ সালে সরিয়ে নেওয়া হয়।
৪. ৩৭৭ টি সিঁড়ি
যদি আপনার ভেতরে উচ্চতাভীতি থেকে থাকে তাহলে স্ট্যাচু অব লিবার্টি আপনার জন্যে নয়। কারণ এতে কেবল ৩৭৭ টি সিঁড়িই নয়, রয়েছে সরু সরু পা রাখার জায়গাও। লিফটের কথা ভাবছেন তো? না, সেটার ব্যবস্থাও রাখা নেই এখানে। ফলে পুরো ব্যাপারটা একসাথে মিলে যা দাঁড়ায় সেটা একবার দেখলেই যেকোন মানুষের ভেতরটা কেঁপে উঠতে বাধ্য। তবুও এই সরু আর বিশাল সংখ্যার সিঁড়িকে পেরিয়ে মানুষ প্রতিদিনই চড়ে বসেন মূর্তির মাথায়।
৫. অসাধারণ সৌন্দর্য
এবং সবটা পেরিয়ে যদি মূর্তির মুকুটের ভেতরে দিয়ে একবার বাইরের দিকে চোখ রাখতে পারেন আপনি তাহলেই কেবল বুঝতে পারবেন এতটা কষ্ট, এতটা কড়াকড়ি আর নজর কী জন্য! চারপাশের অসাধারন সৌন্দর্য এক নিমিষে ধরা পড়বে আপনার চোখে জানলার কাঁচ ভেদ করে। আর তাই এবার আমেরিকায় গেলে আর যাই করুন না কেন, মাথায় রাখবেন লিবার্টি এনলাইটেনিং দ্যা ওয়ার্ল্ড বা স্ট্যাচু অব লিবার্টি দর্শন যেন বাদ না পড়ে যায়!