জানা-অজানা

ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায় তাজমহল!

ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায় তাজমহল! - West Bengal News 24

তাজমহল ভারতের একটি অনন্য স্থাপত্য হিসেবে স্বীকৃত। এর সুক্ষ্ণ মিনার, বাঁকা খিলানপথ এবং আইসক্রিমের ঝাঁকির মত তৈরিকৃত গম্বুজ পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। তাজমহলের শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যেই মানুষ আশ্চর্যবোধ হন না, এর ইতিহাসও অনেক চমকপ্রদ। স্থাপত্যে মার্বেলের ব্যবহার একে আরও আকর্ষণীও করে তোলে। নিম্নে তাজমহলের আকর্ষণীও ১০টি তথ্য দেয়া হল-

১. তাজমহল তৈরি করতে ২২,০০০ শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো। এর মধ্যে শ্রমিক, রঙমিস্ত্রি, সূচিকর্ম শিল্পী, পাথর কাঁটার শিল্পী এবং আরও অনেক শিল্পী রয়েছে।

২. অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, সম্রাট শাহজাহান তাজমহলের নদীর পাশে আরেকটি কাল পাথরের তাজমহল তৈরি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, যুদ্ধের কারনে তার এই চিন্তা সম্পূর্ণ করতে পারেন নি।

৩. তাজমহল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরণের রঙ ধারণ করে। সকালে গোলাপি বর্ণের, বিকালে দুধের মত সাদা বর্ণের এবং রাতে চাঁদের আলোতে সোনালি বর্ণ ধারণ করে। অনেকের মতে, মেয়েদের মন যেমন ক্ষণে ক্ষণে বদলায় তার উপর নির্ভর করে তাজমহলের রঙ করা হয়েছে। এটি সম্রাট শাহজাহানের পরিকল্পনা ছিল।

৪. সম্রাট শাহজাহানের তৃতীয় স্ত্রী মমতাজের স্মরণে তাজমহল তৈরি করা হয়। তাজমহল নির্মাণ করতে ১৭ বছর সময় লাগে।

ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায় তাজমহল! - West Bengal News 24

৫. মমতাজের মৃত্যুতে সম্রাট এতো বেশি কষ্ট পেয়েছিল যে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে তার সব চুল এবং দাড়ি পেকে যায়।

৬. তাজমহলের চারদিক একইভাবে ডিজাইন করা। একদিকে তাকালে অন্যদিকে আয়না দেয়া আছে বলে মনে হয়।

৭. তাজমহলটি ১৭ একর জমির উপর তৈরি করা হয়। তাজমহলে অনেক বড় বাগান, একটি মসজিদ এবং একটি অতিথিদের ঘর রয়েছে।

৮. তাজমহলের উচ্চতা ১৭১ মিটার বা ৫৬১ ফুট।

৯. তাজমহল তৈরিতে কন্সট্রাকশন উপকরণের জন্য ১,০০০টি হাতিকে ব্যবহার করা হয়েছিলো।

১০. ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশদের সাথে ভারতের যুদ্ধের সময় তাজমহলের দেয়ালে ব্যবহৃত মূল্যবান পাথর চুরি করা হয়। তাজমহলে ভ্রমণ করতে গেলে ভারতের উত্তর প্রদেশের সোনালি ভ্রমণও আপনি উপভোগ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য