ছিলেন কাগজকুড়ানি, এখন মাসে আয় করেন ১১ লক্ষ টাকা। কীভাবে এতটা সফল?
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে লড়াই ভীষণ জরুরি। কারণ তার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সাফল্যের চাবিকাঠি। এই মানুষটির সাফল্যের কাহিনি শুনলে অবাক হবেন।
জীবনে সফল হতে গেলে পরিশ্রমের বিকল্প কিছু নেই, এই মানুষটির কাহিনি যেন আগাগোড়াই সে বার্তা দেয়। ২০ বছর আগে দিল্লিতে জীবনের শুরুটা করেছিলেন এক কাগজকুড়ানি হিসাবে। আজ ১৬০টি পরিবারের অন্নদাতা তিনি। নাহ্, ম্যাজিক নয়, সবটাই পরিশ্রমের ফল।
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই ব্যক্তির নাম জয়প্রকাশ চৌধুরি। দু’শতক আগেও দিল্লির রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেন তিনি। ময়লার গাদা থেকে এমন সব জিনিস বের করতেন, যেগুলি পুর্নব্যবহারযোগ্য। দিন শেষে হাতে পেতেন ১৫০ টাকা।
দীর্ঘ পরিশ্রমের পর আজ তিনি দু’টি বর্জ্য পৃথকীকরণ কেন্দ্রের মালিক। মাস গেলে ১১ লক্ষ টাকা আয় করেন। তাঁর কারখানায় ১৬০ জন কাজ করেন বর্তমানে।
জানা গিয়েছে, নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই এতটা সফল হয়েছেন জয়প্রকাশ। ১৯৯৪ সালে বস্তা পিঠে আস্তাকুঁড় থেকে বেছে বেছে আবর্জনা তুলতেন তিনি। এর দু’বছরের মাথায় নিজের একটি অস্থায়ী দোকান খোলেন, যেখানে অন্য কাগজকুড়ানিদের থেকে শুকনো আবর্জনা কিনে বিক্রি করতেন।
পরে একটি সংগঠনও তৈরি করেন তিনি। এরপর অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে অবশেষে ২০১২ সালে গাজিয়াবাদে নিজের বর্জ্য পৃথকীকরণ কেন্দ্র গড়ে তোলেন জয়প্রকাশ। পরবর্তী সময়ে আরও একটি কেন্দ্র খোলেন নয়াদিল্লির রেল স্টেশনের কাছে।