জানা-অজানা

বিদ্যুতে যাদের শরীরভরা

বিদ্যুতে যাদের শরীরভরা - West Bengal News 24

জলের নিচে বসবাস করা প্রাণীদের মধ্যে এমন ছয় প্রজাতির মাছ আছে যাদের শরীরে ইলেক্টরোসাইটস নামের এক ধরনের কোষ থাকে। আর সেই কোষ থেকেই ওরা তৈরি করে বিদ্যুত। অবাক লাগছে? অবাক হওয়ার মতনই ব্যাপার। এবার অবাক করা এমন কয়েকটা বৈদ্যুতিক প্রাণী সম্পর্কে জেনে নিন।

বৈদ্যুতিক ইল :
ইল এক রকম মাছ। বৈদ্যুতিক ইলগুলো সত্যিকারের ইল মাছ নয়। কেবল নামেই এদের ইল বলে ডাকা হয়। অন্যান্য বৈদ্যুতিক মাছের মতো এই ইলগুলোর দেহেও আছে বিদ্যুত তৈরি করার ক্ষমতা। আর সবার চাইতে অনেক বেশি মাত্রার বিদ্যুত তৈরি করতে পারে এই ইলেরা তাদের শরীরে। একটা ইল সর্বোচ্চ ৮ ফুট লম্বা এবং ৫০ পাউন্ড ওজনের হতে পারে। এই ইলগুলোর অতিরিক্ত শকে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

এলিফেন্ট নোজ ফিশ :
এদের সামনের দিকটা দেখতে হাতির নাকের মতো হলেও ওটা আসলে ওদের নাক নয়। ওটা থুতনি বা চিবুক। আফ্রিকায় বাস করা একধরনের মাছের সমগোত্রীয় বলে মনে করা হয় এদের। ওদের চিবুকটা ইয়া লম্বা হলেও চোখে দেখার ক্ষমতা খুব কম। আর তাই খাবার জোগাড় করার জন্য প্রকৃতি ওদের দিয়েছে শরীরভরা বিদ্যুত। বিদ্যুতের মাধ্যমেই ওরা নিজেদের খাবার জোগাড় করে নেয়। বিদ্যুতের সঙ্গে সঙ্গে ওদের আছে এক মাথা বুদ্ধিও। তাই তো বিরক্ত হলেই ওরা খেলতে শুরু করে চারপাশের নানা জিনিসের সঙ্গে।

নিজের জিহ্বা সম্পর্কে কতটুকু জানেন? জেনে নিন ৮টি তথ্য

প্লাটিপাস :
প্লাটিপাসেরা রাতের বেলায় চোখ, কান, মুখ সব বন্ধ করেও শিকার করতে পারে। কিন্তু কীভাবে? অনেকদিন ধরেই এমনটা ভাবছিল বিজ্ঞানীরা। শেষমেশ তাদের ভাবনার অবসান হল যখন জানা গেল প্লাটিপাসের গায়ে আছে বিদ্যুত আর সেই বিদ্যুতের সাহায্যেই সে শিকার করে।

হাঙর :
হাঙরের গায়ে আছে বৈদ্যুতিক তরল ভরা হাজার হাজার লোমকূপ। সাধারণত নিজেদে খাবার খুঁজে বের করতে ওরা এই বিদ্যুত ব্যবহার করে। এর মাধ্যমে বালিতে লুকিয়ে থাকা শিকারকেও ওরা সহজেই বের করে ফেলতে পারে।

বৈদ্যুতিক ওে :
সাগরের নিচে থাকা এমন ৬৯ রকমের রে মাছ আছে যারা কিনা শিকারের সময় নিজেদের দেহে বিদ্যুত ব্যবহার করে। তবে আকারের উপর নির্ভর করে কোন রে মাছের বিদ্যুতের মাত্রা কতটা হবে। ছোট রে মাছের ক্ষমতা থাকে অল্প আর বড়গুলোর বেশি। শিকার করা ছাড়াও যোগাযোগ করতে, বন্ধুকে খুঁজে বের করতে এবং আরও অনেক কাজে রে মাছ নিজেদের দেহের বিদ্যুত ব্যবহার করে।

বউয়ের গয়না বেচে ব্যবসা শুরু, এখন ৯০০ কোটির মালিক!

উজ্জ্বল হর্নেট :
হর্নেট মাছের দেহেও তাকে বিদ্যুত। আর এই বিদ্যুত তারা পায় সূর্য থেকে। এই মাছের শরীর খুব সহজেই সূর্যের আলোকে বিদ্যুতে রুপান্তর করে নিজেদের দেহে ঢুকিয়ে নিতে পারে। এদের দেহে আছে দুই ধরনের দাগ। বাদামি আর হলুদ। বাদামি দাগগুলো সূর্যের আলো নিতে আর হলুদ দাগুলো সেই আলোকে বিদ্যুৎ বানাতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য