পূর্ব মেদিনীপুর

কাঁথির নার্সিংহোমে ভর্তি প্রসূতির জ্বর ও শ্বাসকষ্ট, পরীক্ষার জন্য পাঠানো হল লালারসের নমুনা !

কাঁথির নার্সিংহোমে ভর্তি প্রসূতির জ্বর ও শ্বাসকষ্ট, পরীক্ষার জন্য পাঠানো হল লালারসের নমুনা ! - West Bengal News 24

পূর্ব মেদিনীপুর : কাঁথি শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি এক প্রসূতির লালারসের নমুনা পরীক্ষা জন্য পাঠানো হল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই নার্সিংহোমটি সিল করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ভর্তি থাকা রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে ওই হাসপাতালের সমস্ত চিকিত্‍সক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।

কেবল নার্সিংহোমের একটি কেবিনে আইসোলেশন করে সরকারি ডাক্তার ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে ওই প্রসূতি ও তাঁর সন্তানকে। শনিবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ওই প্রসূতিকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর বাড়ির লোক। কিন্তু জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখে তাঁকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে রেফার করে দেয় কাঁথি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু কলকাতায় না এনে ওই প্রসূতিকে কাঁথি শহরেরই একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন তাঁর পরিবারের লোক। সেখানেই সিজার করে সন্তানের জন্ম দেন ডাক্তাররা। তারপরেই ওই প্রসূতির প্রবল শ্বাসকষ্ট ও জ্বরের উপসর্গ দেখে কাঁথি হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।

কাঁথি হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী জানান, তাঁদের ওখানে ওই প্রসূতিকে আনার পরেই জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখে কলকাতায় রেফার করে দেন। কারণ যদি পজিটিভ কেস হয় তবে গোটা প্রসূতি বিভাগই বন্ধ করে দিতে হবে তাঁদের। আর এতে বিপদ বাড়বে জেলার মানুষের। তিনি বলেন, ”সেই আশঙ্কাতেই ওই প্রসূতিকে কলকাতায় রেফার করে দিয়েছিলাম আমরা। সেই অনুযায়ী কাগজপত্রও করে দিয়েছিলাম। কিন্তু পরিবারের লোক কলকাতায় না নিয়ে গিয়ে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করেন।

নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর আসার পরেই আমরা স্বাস্থ্য দফতরকে জানাই। এরপরেই ব্যবস্থা নেয় স্বাস্থ্য দফতর। ওই বধূর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। হয়তো সাধারণ জ্বর সর্দি। প্রেগন্যান্সি থাকায় কষ্ট বেড়েছে। তবুও ঝুঁকি নেওয়া যাবে না।” এখন পর্যন্ত দেশের করোনা ম্যাপে কাঁথি গ্রিনজোন। কোনও পজিটিভ কেস মেলেনি এখানে। এই রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখতে তাই ন্যূনতম ঝুঁকি নিতেও রাজি নয় প্রশাসন।

সুত্র:সংবাদ মাধ্যম

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য