সু-সম্পর্ক গড়ার ৬ টিপস্
জীবনটা সুস্থ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে অনেক কিছুর দিকেই খেয়াল দিতে হয়। কিন্তু প্রায় সময় তা হয়ে ওঠে না। সম্পর্কের বিষয়টাও এর থেকে ব্যতিক্রম নয়। মেন্টাল হেলথ অ্যাওয়ারনেস উইক উপলক্ষে নতুন এক গবেষণা পরিচালিত করে ব্রিটেনের মেন্টাল হেলথ ফাউন্ডেশন। তাতে বলা হয়, জীবনে ভালো থাকতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্ক। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সুসম্পর্ক গড়তে কয়েকটি উপায়-
১. প্রথম দর্শনেই শক্তিশালী ছাপ
আগন্তুকের সঙ্গে দেখা হওয়া মাত্র সাত সেকেন্ডের মধ্যেই আপনি তাঁর মনে স্থান করে নিতে পারেন। এর মধ্যেই আপনার সম্পর্কে ধারণা সৃষ্টি হয় তাঁর মনে। এর ওপর ভিত্তি করেই সদ্য পরিচিত আপনার সঙ্গে সম্পর্কের বাকিটুকুতে জুড়ে যাবেন। প্রথম দর্শনেই ছাপ ফেলার বিষয়টি নির্ভর করে আপনার অঙ্গভঙ্গি, প্রকাশভঙ্গি ও কণ্ঠের ওপর।
২. ভাসা ভাসা ধারণার ওপরই ঝুঁকি নিতে হবে
প্রথম পরিচয়ের পর কারো সঙ্গে কথা বলতে হয় তাঁর সম্পর্কে তেমন কিছু না জেনেই। কাজেই ধারণার ওপর এগিয়ে যেতে হবে। আচার-ব্যবহারে মানুষ সম্পর্কে একটা চিত্র ফুটে ওঠে মনে। এর ওপর ভিত্তি করে একটা ঝুঁকি নিতে পারেন।
৩. ভালো প্রশ্ন
যদি অন্যজন নিজেকে মেলে ধরতে অস্বস্তি বোধ করেন, তাহলে তাঁকে উৎসাহ দিন। তাঁর মুখ খুলতে প্রশ্ন করুন। তবে ভব্যতা বজায় রেখে অর্থপূর্ণ ও ভালোমানের প্রশ্ন করুন। এমন সব প্রশ্ন করবেন, যাতে তিনি কথা বলতে অনুপ্রাণিত হন।
৪. মুখোশ খুলতে দ্বিধা নয়
অনেক মানুষ আছেন যাঁরা নিজের সম্পর্কে বলতে আগ্রহ বোধ করেন না। এমন আচরণ করুন, যাতে অন্য কেউ মুখোশ পরে থাকলেও তা খুলে ফেলতে দ্বিধা না করেন। এর জন্য নিজেকে উন্মুক্ত করতে হবে। তাঁরা নিজের ভুল প্রকাশ করলে তা নৈতিকতার দিক থেকে বিচার করতে যাবেন না। তাঁদের বিশ্বাসের সঙ্গে নিজেরটা না মিললেও সহমর্মিতা প্রকাশ করবেন।
৫. ইতিবাচক দিক
যাঁর সঙ্গে মাত্র পরিচিত হলেন, তাঁর ব্যক্তিত্বের ভালো দিকগুলোতে দৃষ্টি দিন। এগুলো খুঁজে বের করুন এবং সে প্রসঙ্গে কথা বলুন। তাঁর প্রশংসা করুন।
৬. হাসি
হাসি এমন এক ওষুধ, যা নিজেকে সুখী করে এবং আশপাশের মানুষের মুখেও হাসি এনে দেয়। আলাপচারিতার মাঝে আন্তরিক হাসি দিন। কৃত্রিম হাসি স্পষ্ট বোঝা যায়।