৫ সেকেন্ডের মধ্যেই কোভিড-১৯ রোগী ধরবে আইআইটির এই সফটওয়্যার !
ভারতে ললকডাউনের ফলে অনেকটাই দমানো গিয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার। কিন্তু, লকডাউন উঠলেই ফের আগের রূপ নিতে পারে করোনা। এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, ভারতের ৮০ শতংশ রোগীই উপসর্গহীন। কাজেই, বেশিরভাগেরই পরীক্ষা হচ্ছে না। তাই তারা বাইরে বের হলেই ফের সংক্রমণ আগের জায়গায় পৌঁছতে পারে।
তাই যত বেশি সম্ভব এবং দ্রুত পরীক্ষা প্রয়োজন। একদিন আগেই দিল্লি আইআইটির তৈরি সাশ্রয়ী পরীক্ষা ব্যবস্থা আইসিএমআর-এর অনুমোদন পেয়েছে। এবার আইআইটি-রুরকি’র এক অধ্যাপক দাবি করলেন, তাঁর তৈরি সফ্টওয়্যার এক্স-রে স্ক্যান ব্যবহার করে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে কোভিড-১৯ সনাক্ত করতে পারে।
ইনস্টিটিউটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক কমল জৈন-এর দাবি, সফ্টওয়্যারটি শুধু পরীক্ষার ব্যয় ও সময়ই কমিয়ে দেবে তাই নয়, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের রোগীদের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকিও কমিয়ে দেবে। সফটওয়্যারটি তৈরি করতে তাঁর ৪০ দিনেরও বেশি সময় লেগেছে।
ইতিমধ্যেই এর জন্য তিনি পেটেন্ট-এর দাবি করেছেন এবং পর্যালোচনার জন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা সবুজ সঙ্গেত দিলেই এই সফটওয়্য়ার ব্যবহার করা হতে পারে আরও দ্রুত ও কম খরচে করোনা পজিটিভ নির্ণয়ে।এখনও অবধি অবশ্য কোনও মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠান তাঁর দাবির সত্যতা যাচাই করেনি।
কমল জৈন-এর দাবি, তিনি ৬০,০০০-এরও বেশি কোভিড-১৯, নিউমোনিয়া এবং যক্ষা রোগীদের ফুসফুসের এক্স-রে স্ক্যান বিশ্লেষণ করে প্রথমে একটি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক ডাটাবেস তৈরি করেছেন। তিনটি রোগে আক্রান্তদের ফুসফুসে কী ধরণের তরল তৈরি হয়, যার জন্য শ্বাসকষ্ট হয়, তার পার্থক্য তৈরি করেছেন। সেই ডাটাবেস-এর উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে সফটওয়্যার।
তিনি জানিয়েছেন, চিকিত্সকদের শুধুমাত্র কোনও ব্যক্তির ফুসফুসের এক্স-রে ছবি সফ্টওয়্যারটিতে আপলোড করতে হবে। তারপর সফ্টওয়্যারটি নিজে থেকে সনাক্ত কররে দেবে রোগী কোভিড-১৯ আক্রান্ত কি না, সেইসঙ্গে সংক্রমণের তীব্রতাও পরিমাপ করবে। ফলাফল বের হতে সময় লাগবে পাঁচ সেকেন্ড।
তবে তাঁর মতে এই সফটওয়্যারটি প্রাথমিক স্ক্রিনিং-এর জন্যই বেশি উপযুক্ত হহবেয ক্লিনিকাল টেস্টিং-এর ফলে তাঁদের রোগ সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া য়াবে। তাঁর দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যামাজন বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বিশ্বের অনেক জায়গাতেই এই ধরণের সফ্টওয়্যার তৈরির চেষ্টা চলছে। কিন্তু, তাঁর আগে এই বিষয়ে কেউ সাফল্য পাননি।
সুত্র: Asianet বাংলা