হাজার টাকা অনুদান পেতে কিভাবে আবেদন করবেন? জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
আপাতত স্থগিত রাখা হল ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পে আবেদন। আপাতত নতুন সরকারি নির্দেশ না বেরনো পর্যন্ত তার ফর্ম জমা নেওয়া স্থগিত থাকছে। ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জেলায় বিডিও, এসডিও বা পুরসভা দফতরে ভিড় হয়ে যাওয়ায় সরকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অনলাইনে যাতে ফর্ম জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লকডাউনে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্প ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। কার্যত সোমবারই ছিল সেই প্রকল্পের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিন। এ দিনই সশরীরে আবেদনপত্র পেশের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দিল অর্থ দফতর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘প্রচেষ্টা বন্ধ হয়নি। একটু সমস্যা চলছে। তা ঠিক করার কাজ চলছে।’’ প্রকল্পের সময়সীমা ছিল ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ মে। যাঁরা সামাজিক সুরক্ষা যোজনা বা সামাজিক পেনশন পান না, সেই অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকেরা ‘প্রচেষ্টা’র জন্য আবেদন করতে পারবেন। শ্রম দফতর মারফত আবেদনকারীর অ্যাকাউন্টে এক হাজার টাকা জমা পড়বে এককালীন।
দিন কয়েক আগেই বাংলায় বসবাসকারী অসংগঠিত ক্ষেত্রের এবং ভিন রাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার কথা চিন্তা করে দুটি অনুদান প্রকল্প ঘোষণা করেন মমতা। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত ‘স্নেহের পরশ’ প্রকল্পটিতে অনলাইন বা অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু, ‘প্রচেষ্টা’র জন্য সেই সুযোগ ছিল না। রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে তা ভর্তি করে ব্যক্তিগতভাবে জমা দেওয়ার নিয়ম ঘোষণা করে অর্থ দফতর। জেলায় জেলাশাসকের তরফে গ্রামাঞ্চলে বিডিও বা শহরাঞ্চলে এসডিও এবং কলকাতায় পুর কর্তৃপক্ষের অফিসে এই ফর্ম জমা দেওয়ার কথা বলা হয় আদেশনামায়।
এদিকে, কোথাও কোথাও রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমেই ফর্ম মিলেছে বলে অভিযোগ। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের অভিযোগ, ‘‘সরকারের স্পষ্ট ভাবনাচিন্তা ও পরিকল্পনার অভাবেই গরিব, বিপন্ন মানুষের সমস্যা বাড়ছে।’’ বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রচেষ্টা প্রকল্প স্থগিত কেন? বিপদে গরিব মানুষ। পকেটে পয়সা নেই। অসহায় মানুষকে নিয়ে ছেলেখেলা করছে সরকার।’’
সুত্র : কলকাতা ২৪x৭