টুইটারে মুখ্যমন্ত্রীকে কুরুচিকর আক্রমণ, গ্রেপ্তার হল এক যুবক !
দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: টুইটার অ্যাকাউন্টে করোনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে বুধবার হিন্দমোটর থেকে সেতু কীর্তনীয়া নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করল উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্যে, দেশজুড়ে যখন করোনার মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা প্রাণপাত করছেন তখন সেতু কীর্তনীয়া নামে ওই যুবক টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর কিছু পোস্ট করে রাজ্যের মানুষের মনে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে যার ফল মারাত্মক হতে পারে। করোনার মোকাবিলা প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চিকিত্সা পরিষেবা, রেশন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মন্তব্য করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে ওই যুবক।
পোস্টটি প্রকাশ্যে আসতেই চারিদিক থেকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সেতু কীর্তনীয়ার বিরুদ্ধে উত্তরপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে হিন্দমোটর থেকে সেতু কীর্তনীয়াকে গ্রেপ্তার করে। এই বিষয়ে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব জানান, কিছু অসামাজিক মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াকে খারাপ কাজের জন্য ব্যবহার করে। ওই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করে মানুষের মধ্যে খারাপ মানসিকতা তৈরি করে পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এদেরকে সমাজের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
অন্যদিকে, হুগলির এক চিকিত্সক কর্মসূত্রে অন্য জেলায় থাকাকলীন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুবীর তালুকদার নামে এক ব্যক্তি ওই চিকিত্সক ও পরিবারের সম্পর্কে প্রকাশ্যে বিবৃতি দেয়। যার ফলস্বরূপ ওই চিকিত্সকের নাম ঠিকানা প্রকাশ হওয়ার পরই চিকিত্সকের পরিবার নানারকম সামাজিক বাধার সম্মুখীন হন। তাদের ব্যক্তিগত জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। এরপরই উত্তরপাড়া থানার পুলিশ একটি সুয়োমোটো কেস করে সুবীর তালুকদারের বিরুদ্ধে। বুধবার পুলিশ তাকেও গ্রেপ্তার করে। ধৃত দুই জনকেই বুধবার শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
সুত্র:সংবাদ প্রতিদিন