আরোগ্য সেতু অ্যাপ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অপবাদে কী জানালো কেন্দ্র ? জেনে নিন !
নয়াদিল্লিঃ দেশ জুড়ে করোনা মহামারীর বিষয়ে নজরদারি চালানর জন্য কেন্দ্রের তরফে নিয়ে আসা হয়েছিল আরোগ্য সেতু অ্যাপ। কিন্তু অ্যাপ থেকে সাধারণ মানুষের নাকি গোপন তথ্য চুরি যাচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যদিও কেন্দ্রের তরফে দেই বিষয়ে স্বস্তির খবর জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে এই অ্যাপ থেকে তথ্য চুরি যাওয়ার কোন সম্ভবনা নেই।
মূলত এক ফরাসি হোয়াইট হ্যাকারের অভিযোগের ভিত্তিতে এমনটা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অ্যাপের কারণে প্রচুর মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ঝুকির মুখে বলে জানিয়েছিলেন ওই হ্যাকার। তার উত্তরে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে ঝুকির কোন সম্ভবনা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয় আরোগ্য সেতু অ্যাপ থেকে তথ্য লোপাটের কোন ভয় নেই। এছাড়া ওই হোয়াইট হ্যাকার কোন প্রমাণও তার অভিযোগের সপক্ষে পেশ করতেও পারেননি।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল এই অ্যাপ ব্যবহারের যাবতীয় তথ্য সরকারের কাছে সুরক্ষিত রয়েছে। তা চুরি যাওয়ার কোন ঝুকি নেই। তবে কেন্দ্রের এই উত্তর খুশি করতে পারে নি ওই হ্যাকারকে। তবে হ্যাকারের তরফে জানানো হয় বৃহস্পতিবার আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পেশ করা হবে। ওই হ্যাকার আগেও আধার কার্ডের তথ্য ফাসের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।
ওই হ্যাকার নিজের টুইটটি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ট্যাগ করেছিলেন। এর আগেও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিী এই আরোগ্য সেতু অ্যাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। শুধু রাহুল গান্ধীই নন, ব্যাক্তিগত তথ্য চুরি যাচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলেরও। যদিও তার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছিলেন এটি এক শক্তিশালী সঙ্গী। যা মানুষকে রক্ষা করে। ইতিমধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি কর্মীদের এই অ্যাপ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে এই অ্যাপ প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের বেশীরভাগ মানুষ এটি ডাউনলোড করেছিলেন নিরাপত্তার খাতিরে। বিশ্বজুড়ে ক্রমেই আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এই করোনা ভাইরাস। এদেশেও ক্রমেই বাড়ছে তার প্রকোপ। আর যার জেরে ইতিমধ্যে প্রায় চল্লিশ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
পাশপাশি বেশ কয়েকজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যা স্বস্তি ইচ্ছে চিকিত্সকদের। তবে কেন্দ্রের তরফে এই ভাইরাস সংক্রমন এবং সংক্রমিত এলাকা নিয়ে সতর্ক করার কারণে এই অ্যাপ নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে বিদেশি ওই হ্যাকারের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়াতে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন সাধারণ মানুষজন।
সুত্র: কলকাতা24×7