পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে থেকে রওনা দিল সরকারি বাস !
ওয়েবডেস্ক : শিলিগুড়ি , লকডাউন শুরুর প্রায় দেড় মাস পর শনিবার বিকেলে বাড়ির পথে রওনা হলেন প্রায় ৩০০ জন পরিযায়ী শ্রমিক ও আটকে পড়া মানুষজন। শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে ছাড়ল ১০টি বাস। এই বাসগুলিতেই দক্ষিণ-২৪ পরগনার দিকে রওনা দিলেন ওই শ্রমিকরা। শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, পানিট্যাঙ্কি, কালিম্পং, কার্শিয়াং-সহ একাধিক এলাকায় কাজ করতে যান দক্ষিণবঙ্গ ও বাইরের রাজ্যের বহু শ্রমিক।
এবার করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন শুরু হওয়ায় তাঁরা আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। আটকে পড়েন তাঁদের পরিবার-পরিজনও। কাজ বন্ধ থাকায় তাঁদের আয়ও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রশাসন বা বিভিন্ন সংগঠনের থেকে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও, অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর মতো পয়সা শেষ হয়ে যায়। উপায় না দেখে এঁদের মধ্যে অনেকেই সড়কপথ, রেলপথ ধরে বাড়ির দিকে রওনা হয়ে যান।
অনেকে আবার প্রশাসনের উদ্যোগের অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন। অবশেষে পরিযায়ী শ্রমিক ও আটকে পড়া মানুষজনকে বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক সুমন্ত সহায়ের উদ্যোগে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের ১০টি বাস শনিবার বিকেল ৫টায় রওনা দেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার দিকে। প্রথম ধাপে ৩০০ জনকে পাঠানো হল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বারুইপুর, ক্যানিং, কাকদ্বীপের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা এই শ্রমিকরা।
এদিন সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাসে তোলা হয় তাঁদের। বারুইপুর থেকে আসা মিহিদানা-সন্দেশ ফেরিয়ালা সঞ্জয় পাল বলেন, ”উপায় না দেখে আমাদের অনেকেই হাঁটা পথে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছে আদেই। আমরা তাকিয়ে ছিলাম সরকারের দিকে। অবশেষে সেই দিনটা এল। অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রত্যেককে।” উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের শিলিগুড়ি তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসের অফিসার ইনচার্জ উত্তম ঘোষ বলেন, ”প্রত্যেককে মেডিক্যাল টেস্ট করে তবেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
তিনটি বাস রিজার্ভে রাখা হয়েছে।” জেলা পরিবহণ আধিকারিক সোনম লেপচা বলেন, ”রবিবার একইভাবে আটকে থাকা ১৮৫ জনকে বীরভূমে পাঠানো হবে।” আগামীকাল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের বাস উত্তরে আটকে পড়া মানুষদের নিয়ে রওনা হবে বীরভূম।
সুত্র: THE WALL