রাজ্য

রাজ্যে ২১ মে লকডাউন উঠলেও কবে স্বাভাবিক হচ্ছে কলকাতা?

রাজ্যে ২১ মে লকডাউন উঠলেও কবে স্বাভাবিক হচ্ছে কলকাতা? - West Bengal News 24

কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষিত তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে ১৭ মে। অন্যদিকে রাজ্য সরকার জানিয়েছে ২১ মে পর্যন্ত লকডাউনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছ তারা। কিন্তু সাতদিন হোক কিংবা দশদিন লকডাউন যদি উঠেও যায়, তাহলেও কি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরতে পারবে কলকাতা, উঠছে প্রশ্ন। কেননা রাজ্যের মোট করোনা আক্রান্তের প্রায় অর্ধেকই হল কলকাতার।

মোট ১৯৩৯ জন আক্রান্তের ৯৪৮ জনই কলকাতার
রবিবার সন্ধেয় স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যের মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৩৯ জন। এঁদের মধ্যে ৯৪৮ জন কলকাতার। এছাড়াও হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও হুগলির আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪১৭, ২৫১ এবং ১২০ জন।

কলকাতার ১৪৪ টি ওয়ার্ডের ১১৩ টিতে কন্টাইমেন্ট জোন
কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১৩ টিতে কন্টাইনমেন্ট জোন রয়েছে। এই ১১৩ টি ওয়ার্ডের ৩৩৪ টি এলাকা বুধবার ছিল কন্টাইনমেন্ট জোনের মধ্যে। শনিবার সেই সংখ্যাটা ৩২৬ হলেও রবিবার তা বেড়ে হয়েছে ৩৩৮। এর মধ্যে আবার বেশিরভাগই উত্তর কলকাতার। স্থানীয় যুবকরাই বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে দিয়েছেন, যাতে বাইরের কেউ সেখানে প্রবেশ করতে না পারে।

লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পথে হাঁটতে পারে রাজ্য
গত কয়েকদিনে কন্টাইনমেন্ট এলাকার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে কলকাতা ছাড়াও, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা। উত্তর ২৪ পরগনার এলাকার মধ্যে রয়েছে, দমদম, দক্ষিণ দমদম এবং বিধাননগর পুর এলাকার অনেকটা অংশ। ফলে যদি সাতদিন কিংবা ১০ দিন পরে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে এইসব এলাকা আগের মতোই থেকে যাবে। কেননা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে কম করে ১৪ দিন সময় লাগবে। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।

বাসিন্দারা নিয়ম না মানায় প্রশ্ন পুরমন্ত্রীর
পুরমন্ত্রী করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য বাসিন্দাদের মানসিকতাকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, ২৩ ঘন্টা বাড়িতে নিয়ম মেনে থাকলাম। কিন্তু বাকি একঘন্টা বাজারে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে চললাম না এটা কোনওভাবেই ঠিক নয়।

সুত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য