ওয়েব ডেস্ক :: করোনার প্রকোপে দেশের ধসে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল, করোনা রুখতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছি, তবে করোনা আবহে কেন্দ্রের এই রাজনীতি কাম্য নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের বিষয়েই যখন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমস্ত ক্ষোভ উগড়ে দিলেন।
এদিন শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ভীত। কারণ রাজ্যে এখন যে কী পরিস্থিতি, তা তিনি নিজেও জানেন না। কত সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছে বা কত সংখ্যক মানুষ কোভিড আক্রান্ত তা নিয়ে সুস্পষ্ট কোনও ধারণা নেই তাঁর সরকারের কাছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি কেন্দ্রকে এই বিষয়টি থেকে দূরে রাখতে চাইছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্র যদি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে তাহলে করোনা পরিস্থিতি যে কতটা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, তা উঠে আসবে। এই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভীত যে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে আসল চিত্রটা সামনে চলে আসবে।’
এরপর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘আপনারা অনেকেই যানেন যে করোনা পরিস্থিতি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি শ্মশান তৈরি করা হয়েছে। এটা পুরোপুরি আনঅথরাইজড একটা শ্মশান। মানুষকে না জানিয়ে জঙ্গলের মধ্যে তা তৈরি করা হয়েছে। মানুষ কিছুই জানে না। আমাল লোকসভা কেন্দ্রে এই শ্মশান তৈরি করা হয়েছে। কেন তৈরি করা হল এই শ্মশান?’
এরপর বনগাঁর সাংসদ বলেন, ‘এর থেকই পরিষ্কার যে মানুষের মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আর এই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার সব রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে। মানুষের থেকে লুকোতে এই সবই করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।’
কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত নিয়ে বলতে গিয়ে এদিন বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘পরিস্থিতি এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন। তিনি দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন। সব রাজ্য পরিযায়ীদের ফেরাতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। কেবল পশ্চিমবঙ্গ ব্যতিক্রম। আমার এলাকারই এখনও প্রায় ১০ হাজার মানুষ এখন আটকে বাইরে। তাদের জন্য় কিছুই করা হচ্ছে না।’
সুত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া