ঝাড়গ্রাম

ঝাড়গ্রাম শহরে বিষাক্ত পার্থেনিয়াম আগাছা সাফ করতে পথে নামলেন যুব তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা

ঝাড়গ্রাম শহরে বিষাক্ত পার্থেনিয়াম আগাছা সাফ করতে পথে নামলেন যুব তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা - West Bengal News 24

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম শহরের রাস্তার ধারে বিষাক্ত পার্থেনিয়াম আগাছা সাফাই অভিযান শুরু করলেন শহর যুব তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। রবিবার থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। এদিন শহরের রাস্তার ধারে আগাছা সাফাই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ঝাড়গ্রাম শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাহাতো। তিনি জানান, শহরকে পার্থেনিয়াম মুক্ত করতে নিয়মিত এমন সাফাই-অভিযান চালানো হবে। অরণ্যসুন্দরী ঝাড়গ্রাম শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ধারে পার্থেনিয়ামের ঘন ঝোপ হয়ে গিয়েছে। জনবসতির মাঝেও রয়েছে পার্থেনিয়ামের ঝোপ।

বিষাক্ত উদ্ভিদটি সাধারণত উচ্চতায় এক থেকে দেড় মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ধনে পাতার গাছের মতো দেখতে ছোট ছোট সাদা ফুলে ভর্তি এই গাছটি। পার্থেনিয়াম শাখা বিস্তারের মাধ্যমে গম্বুজ আকৃতির অথবা ঝোপ আকারের হয়। একটি গাছ বাঁচে তিন থেকে চার মাস। এই সময়ের মধ্যেই তিনবার ফুল ও বীজ হয়। গোলাকার, সাদা, আঠালো এবং পিচ্ছিল হয়ে থাকে এর ফুল।

পার্থেনিয়ামের একটি গাছ ৫ থেকে ২৫ হাজার বীজ উৎপাদনে সক্ষম। এই বীজ এতই ছোট যে গবাদি পশুর গোবর, গাড়ির চাকার কাদামাটি, পথচারীদের জুতোর তলার কাদামাটি, সেচের জল ও বাতাসের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। এই বিষাক্ত ফুলের রেণু বাতাসের মাধ্যমে সহজেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এবং মানব দেহে চর্মরোগ, জ্বর, হাঁপানি ও ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগ সৃষ্টি করে। পার্থেনিয়াম মানুষের হাতে ও পায়ে লাগলে প্রাথমিক অবস্থায় হাত, পা চুলকোতে শুরু করে, লাল হয়ে যায়। পরে ত্বকে ক্ষতিও হতে পারে।

পার্থেনিয়ামের কারণে ঘনঘন জ্বর হতে পারে। অসহ্য মাথাব্যথা ও উচ্চরক্তচাপে ভুগতে পারেন কেউ কেউ। দশ মিটার দূর থেকেও এই আগাছাটির ফুলের রেণু মানুষের এলার্জি, হাঁপানি রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এ ক্ষেত্রে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। পার্থেনিয়াম ভরা মাঠে গবাদি পশু চরলে পশুর শরীর ফুলে যেতে পারে। তীব্র জ্বর, বদহজম-সহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। দুগ্ধবতী গরু, মোষ, ছাগল পার্থেনিয়াম খেয়ে ফেললে দুধ তেতো হয়ে যায়। সেই দুধ খাওয়া খুবই ক্ষতিকর। গবাদি পশু বেশি পরিমাণ পার্থেনিয়াম খেয়ে ফেললে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য