কলকাতা

দিনভর অবরোধ-বিক্ষোভ ,কিন্তু মিলল না বিদ্যুত্‍ পরিষেবা ব্যর্থ CESC !

দিনভর অবরোধ-বিক্ষোভ ,কিন্তু মিলল না বিদ্যুত্‍ পরিষেবা ব্যর্থ CESC ! - West Bengal News 24

 

ওয়েবডেস্ক : কলকাতা, সুপার সাইক্লোন আমফান আছড়ে পড়ার পর সপ্তাহ ঘুরতে চলেছে। এখনও অন্ধকার দক্ষিণের বড় অংশ। নেতাজি নগর, রিজেন্ট এস্টেট, গড়িয়া, শ্রী-কলোনি, বিজয়গড় থেকে বেহালা, পর্ণশ্রীর মত শহরের বহু অঞ্চলে বিদ্যুত্‍ ফেরেনি। স্বাভাবিকভাবেই কলকাতার বড় অংশে স্তব্ধ হয়ে আছে জনজীবন। খুবই ফুটছে এলাকার মানুষ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শুরু হয় রাস্তায় নেমে জনবিক্ষোভের পালা।

সকাল গড়িয়ে দুপুর। ক্ষোভের মাত্রা বেড়েছে জন মানসে। অবরুদ্ধ হয়েছে রাজপথ। একদিকে গড়িয়া থেকে টালিগঞ্জ সংযোগকারী সদা ব্যস্ত নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস রোড অবরুদ্ধ হয়েছে। অন্যদিকে মানুষের ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে দক্ষিণের বিজয়গড়, শ্রীপল্লী এলাকায়। দফায় দফায় জন অবরোধে ব্যাহত হয়েছে জনজীবন। থমকে গিয়েছে যানবাহনের গতি।

ব্যর্থতা আড়াল করতে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ যুক্তি সাজিয়েছে, মঙ্গলবার রাতের মধ্যে ৯৭ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুত্‍ পরিষেবা চালু করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩৩ লক্ষ গ্রাহকের মধ্যে ৩২ লক্ষ গ্রাহকের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া গেছে বলেও দাবি সিইএসসি-র ভাইস প্রেসিডেন্ট অভিজিত্‍ ঘোষের।

যদিও বাকি এক লক্ষ মানুষের কাছে কত দিনের মধ্যে বিদ্যুত্‍ পরিষেবা পৌঁছে দেবেন, সেই প্রশ্ন সুকৌশলে এড়িয়ে গেছেন সিইএসসি-র বড় কর্তা অভিজিত্‍ ঘোষ।

সিইএসসি যুক্তির যে মায়াজাল-ই সাজাক, শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ টহল দিলে মঙ্গলবার মানুষের ক্ষোভের ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গেছে বারে বারে। ২০ মে-র রাত থেকে বিদ্যুত্‍হীন অবস্থায় শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।

ফলে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে মানুষের। ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে। রাজপথে নেমে এসে অবরোধের রাস্তায় হেঁটেছেন সাধারণ মানুষ। নিস্তার চেয়েছেন সপ্তাহব্যাপী ভোগান্তির থেকে।

সুত্র: News18

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য