কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে করোনার থাবা ,আক্রান্ত ১২ জন পুলিশ কর্মী !
ওয়েবডেস্ক : কলকাতা , পিটিএস বা কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে এবার একসঙ্গে ১২ জন পুলিশ কর্মী করোনা আক্রান্ত। এদের প্রত্যেককেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একসঙ্গে এত জন পুলিশকর্মী আক্রান্ত হওয়ায় কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে যথেষ্ট আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জানা গিয়েছে,করোনা আক্রান্ত ১২ জন পুলিশ কর্মীর মধ্যে ৯ জন সেপাই, দুজন এএসআই বা অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর এবং একজন গাড়ি চালক। কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের একাংশের অভিযোগ, উপযুক্ত সুরক্ষা ছাড়াই তাদের কাজ করতে হচ্ছে। ফলে অনেক সহকর্মীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। বার বার বলা সত্বেও পুলিশের উচুতলার অফিসাররা কর্ণপাত করছেন না।
তাই নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের মধ্যে দিন দিন বাড়ছে ক্ষোভ। কিছুদিন আগে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখান কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা। সেদিন রাতে পিটিএস অর্থাত্ পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখান জওয়ানেরা।
আন্দোলনকারীরা এজেসি বোস রোড, ডি এল খান রোড অবরোধ করে। বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে নিগৃহীত হন ডিসি (কমব্যাট ব্যাটালিয়ন) এন এস পল। খোদ কলকাতায় পুলিশের বিক্ষোভ।তবে কলকাতা পুলিশ কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভে কারণ করোনা।
তাদের অভিযোগ, কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন । কিছু দিন আগেই এক জন কমব্যাট ব্যাটালিয়নের জওয়ান আক্রান্ত হয়েছেন । কিন্তু তার সংস্পর্শে আসা পুলিশ কর্মীদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়নি। প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় একেবারেই সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়ছেন পুলিশ। এবার তাঁদের মধ্যেই বাড়ছে সংক্রমণের হার। ফলে উদ্বিগ্ন কলকাতা পুলিশ।
মঙ্গলবার করোনা হাসপাতালে পুলিশকর্মীর মৃত্যু। এরপরই গরফা থানায় বিক্ষোভ দেখান অন্যান্য পুলিশকর্মীরা। ভাঙচুরও করা হয় থানার একাংশে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশের বড় কর্তারা।
জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে রবিবার এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা গড়ফা থানার এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টরকে। সেখানেই সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়। অভিযোগ, ওই পুলিশকর্মীর যে চিকিত্সার প্রয়োজন ছিল,সময় মতো তা হয়নি।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষোভকারী পুলিশ কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, আরও আগে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন ছিল। এছাড়া তাকে কেন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হল না। কেন এমআর বাঙুরের সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস (সারি) ওয়ার্ডে ভর্তি করা হল।
গরফার ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিনহা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,গরফা থানার এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
সুত্র: কলকাতা24×7