যত বেশি আকর্ষণ, তত বেশি মেসেজ!
বর্তমান যুগে জীবনসঙ্গী খোঁজার বিষয়ে অনলাইন ডেটিং এখন সবারই পরিচিত মাধ্যম। গবেষকরা এই ডেটিং অ্যাপ্লিকেশনের বিভিন্ন অনলাইন তথ্য থেকেই শুরু করেছেন নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
‘সায়েন্স অ্যাডভান্স’ এর জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পেয়েছে যাতে ডেটিং অ্যাপে পাঠানো নানা মেসেজ নিয়ে অদ্ভুত কিছু তথ্য উঠে এসেছে। “চাহিদার শ্রেণিবিন্যাসের” এই বর্ণনায় দেখা গেছে যে, পুরুষ ও নারী উভয়েই নিজেদের থেকে অন্তত ২৫ শতাংশ বেশি আকর্ষণীয় মানুষের সাথেই কথা বলতে ভালোবাসেন।
চারটি প্রধান মার্কিন শহর বস্টন, শিকাগো, নিউইয়র্ক এবং সিয়াটেলের একটি জনপ্রিয়, বিনামূল্যে অনলাইন ডেটিং পরিসেবা নিয়ে চলে এই গবেষণা। গবেষকরা বয়স, জাতি এবং ব্যবহারকারীদের শিক্ষার উপর ভিত্তি করেই গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যান। বিশ্লেষণ সহজতর করার জন্য কেবল বিপরীত লিঙ্গের সম্পর্ককেই বেছে নেওয়া হয়েছিল এখানে।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানের লেখক, এলিজাবেথ বার্ক বলেন, ‘ডেটিং সম্পর্কে অনেক লোককাহিনী আছে এবং ডেটিং-এর নিয়ম, কৌশল কী সেই নিয়েও অনেক কথা আছে মানুষের’। গবেষকরা জানাচ্ছেন প্রথম মেসেজটি সাধারণত পুরুষরাই করে থাকেন এবং নারীরা সাধারণত এই সব মেসেজের উত্তর কমই দেন। গবেষণায় আরও বলা হয়, যারা উভয়ের চাহিদার সাথে খাপ খাচ্ছে তাঁদের ক্ষেত্রে পাঠানো মেসেজ বেশ দীর্ঘও হয়। কথা শুরু করার ক্ষেত্রে বেশির ভাগই শুরু করেছেন, ‘হাই……’ লিখে। তারপর? তারপর ভালো লাগার মানুষটির উত্তরের অপেক্ষা।
সিয়াটেলের পুরুষদের ক্ষেত্রে অবশ্য ব্যতিক্রমও দেখা গেছে। যারা দীর্ঘ মেসেজ লিখেছিলেন তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই তাড়াতাড়ি উত্তর পেয়েছেন। গবেষণা আরও জানাচ্ছে, বয়স্ক মহিলাদের চাহিদা কমে গেলেও, বয়স্ক পুরুষ কিন্তু এগিয়ে আছেন ডেটিং এর ক্ষেত্রে। এমনকি স্নাতকোত্তর করা নারীদের ক্ষেত্রে ডেটিং এর সংখ্যাও কমছে।
নিউইয়র্কের এক ৩০ বছর বয়সী মহিলা সারা মাসে ১৫০০টি মেসেজ পেয়েছেন, হিসেব মতো প্রতি ৩০ মিনিটে একটা করে ‘হাই’ পাঠানো মেসেজে মহিলার ব্যক্তিগত জীবনে কতখানি চাপ পড়েছিল তা সহজেই অনুমেয়। মনোবিজ্ঞানী লুসি হান্ট অনলাইন ডেটিং আমাদের দেখায় যে কারা এই সময় উপলব্ধ, কিন্তু তার চেয়ে আরও বেশি কিছু আশা না করাই ভালো। মানুষের সাথে মুখোমুখি কথা বলাই সবচেয়ে সুন্দর ও সহজ পদ্ধতি এক্ষেত্রে।